মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: কাশ্মীরে (Kashmir) ফের জঙ্গি নিধন অভিযান যৌথবাহিনীর। মিলল সাফল্যও। দীর্ঘক্ষণ গাঢাকা দিয়ে থাকার পর অবশেষে নিকেশ ২ জেহাদি (Terrorist)। যাদের মধ্যে একজন আবার পাকিস্তানের নাগরিক বলে দাবি কাশ্মীর পুলিশের।
গত ২৯ মার্চ কাশ্মীরে একটি বৈঠক চলাকালীন রক্ত ঝড়ায় সন্ত্রাসবাদীরা। তাদের হামলায় মৃত্যু হয় দুই কাউন্সিলরের এবং এক পুলিশ কর্মীর। তার পর থেকেই ওই হত্যাকারীদের সন্ধান চালাচ্ছিল কাশ্মীরের যৌথবাহিনী। শেষপর্যন্ত বারমুল্লা জেলার নাথিপোরা সোপোর এলাকায় ওই জেহাদিদের হদিশ মেলে। বিশ্বস্ত সূত্রে বাহিনী খবর পায়, ওই এলাকায় ঘাপটি মেরে রয়েছে দুই জঙ্গি। মঙ্গলবার সন্ধেয় গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে বাহিনী। সন্ত্রাসবাদীদের আত্মসমর্পন করার নির্দেশ দেয় বাহিনী। কিন্ত স্বভাবতই সে কথা কানে তোলেনি তারা। বরং বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। কয়েকঘণ্টা এনকাউন্টার শেষে দুই জেহাদিকে খতম করে বাহিনী।
বাহিনী সূত্রে খবর, দুজনই লস্কর-ই-তইবার (LeT) সদস্য। তারাই কাউন্সিলর ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল। মৃত দুই জেহাদির মধ্যে একজন পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে প্রবেশ করেছিল। এ প্রসঙ্গে কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, সোপোরের দুই জঙ্গির হদিশ মিলেছিল। তাদের আত্মসমপর্ণ করতে বললে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে তারা। দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় দুজনই। সাম্প্রতিক অতীতে যৌথবাহিনীর বড় সাফল্য। বিজয় কুমাপ আরও জানান, মৃত দুজনের মধ্যে এক বিদেশি রয়েছে। সে কাশ্মীরের দুই কাউন্সিলর ও পুলিশ হত্যায় যুক্ত ছিল। প্রসঙ্গত, সোপোরের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে সম্মুখ সমরে না নেমে জম্মু ও কাশ্মীরে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পাকিস্তান আর্মি ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সীমান্তের অপার থেকে সন্ত্রাসবাদীদের ঢুকিয়ে এবং স্থানীয় যুবকদের মগজধোলাই করে ভারতকে রক্তাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পড়শি দেশটি। তবে ভারতীয় সেনার লাগাতার অভিযান ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে অনেকটা বিপাকে ইসলামাবাদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.