সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতেও কি তাহলে শিকড় ছড়িয়েছে বিশ্ব সন্ত্রাসের মুখ হিসেবে পরিচিত আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী? রবিবার গুজরাটের ঘটনার পর অন্তত এমন প্রশ্নই উঠছে। এদিন আইএস জঙ্গি সন্দেহে দু’জনকে আটক করেছে গুজরাটের সন্ত্রাসদমন শাখার গোয়েন্দারা। সম্পর্কে দুই ভাই ওয়াসিম রামোদিয়া এবং নইম রামোদিয়াকে যথাক্রমে রাজকোট ও ভাবনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে।
এটিএসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া দুই ভাই সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে আইএসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। সুরেন্দ্রনগর জেলার চোটিলা মন্দিরের মতো ধর্মীয় স্থানে বিস্ফোরণ ঘটানোই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। দু’জনের কাছ থেকেই বোমা তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার হয়েছে। শুধু তাই নয়, গান পাউডার, ব্যাটারিযুক্ত দেশি বোমা, মুখোশও উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা কম্পিউটারগুলি থেকে আইএসের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
Person arrested by Gujarat ATS from Rajkot. Joint CP of Crime Branch, IK Bhatt says they were planning ‘lone wolf’ attacks. pic.twitter.com/JN1hCZDCcb
— ANI (@ANI_news) February 26, 2017
এটিএস দলের এক সদস্য ডেপুটি কমিশনার কে কে প্যাটেল বলেন, ‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওয়াসিম ও নইমকে গ্রেপ্তার করেছে এটিএস। গতরাতে দুটি দলে হয়ে ভাগ হয়ে এই অভিযান চালানো হয়। ওদের কাছে বোমা তৈরির সমস্ত মাল-মশলা ছিল। আগামী দু’দিনের মধ্যেই ধর্মীয় স্থানে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষেছিল। টুইটার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ওরা দেশের বাইরে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছিল।’ অন্যদিকে, এটিএসের আরেক সদস্য এসপি হিমাংশু শুক্লা জানান, ‘এটা সত্যি যে চোটিলা মন্দির ওদের লক্ষ্য ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে এর বেশি তথ্য আমরা দিতে পারব না।’
এর আগে চলতি মাসেই আইএসের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কেরল থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল এনআইএ। শুধু তাই নয়, আইএস জঙ্গিদের কবলে থাকা ভারতীয় চিকিৎসক কে রামামূর্তি মুক্তি পেয়ে ভারতে পা দিয়েই জানিয়েছিলেন, ভারতে বড়সড় হামলার ছক কষছে আইএস জঙ্গিরা। তাই একটি হামলার ছক বানচাল করলেও আগামী দিনে আরও সতর্ক থাকতে হবে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.