সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: COVID-19-এর জন্য র্যাপিড টেস্ট কিট (RTK) তৈরির কাজ শুরু করল ভারতীয় দুই সংস্থা। চলতি মাসেই তিন ভারতীয় নির্মাতা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (CDSCO) কাছে র্যাপিড টেস্ট কিট উৎপাদনের লাইসেন্সের জন্য আবেদন জানিয়েছিল। তার মধ্যে থেকে দু’টি সংস্থাকে অনুমতি দিল ড্রাগ কন্ট্রোল। প্রসঙ্গত, চিন থেকে র্যাপিড টেস্ট কিট চেয়ে পাঠিয়েছিল ভারত। বৃহস্পতিবার ৬.৫ লক্ষ টেস্ট কিট ভারতে এসে পৌঁছবে। এছাড়া ইজরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া থেকেও টেস্ট কিট আনছে ভারত।
এই মাসের শুরুতে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) নয়াদিল্লিতে ভ্যানগার্ড ডায়াগনস্টিকস, কেরলের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এইচএলএল লাইফেকার লিমিটেড এবং গুজরাটের ভক্সটুর বায়ো লিমিটেডের র্যাপিড টেস্ট কিট যাচাই করে। এর মধ্যে কেরলের এইচএলএল লাইফেকার লিমিটেড এবং গুজরাটের ভক্সটুর কাজ শুরু করেছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ভ্যানগার্ড ডায়াগনস্টিকসও কিট তৈরির কাজ শুরু করবে। জানা গিয়েছে, ২০ এপ্রিলের মধ্যে ১ লক্ষ র্যাপিড টেস্ট কিটের জোগান দিতে পারবে এইচএলএল ও ভক্সটুর।
করোনা এখন দ্রতহারে ছড়িয়ে পড়ছে ভারতে। এই সময় দাঁড়িয়ে র্যাপিড টেস্ট কিটের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। কারণ বর্তমানে রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন টেস্ট বা আরটি-পিসিআরের (RT-PCR) মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে ফল পেতে পাঁচ ঘন্টা সময় লেগে যায়। কিন্তু র্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহার করলে ৩০ মিনিটের মধ্যেই ফলাফল জানা সম্ভব হবে। যদিও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ এখনই র্যাপিড টেস্ট কিটের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে রাজি নয়। এই কিটের সাহায্যে নমুনা পরীক্ষার পরও আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
জনপ্রিয় কনডম উৎপাদনকারী সংস্থা এইচএলএল লাইফেকার লিমিটেড ১৪ এপ্রিল থেকে মানেসর ও হরিয়ানা প্ল্যান্টে র্যাপিড টেস্ট কিট তৈরি করা শুরু করেছে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে এখান থেকে প্রথম দফায় ১ লক্ষ কিট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোম্পানির এক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জানিয়েছেন, “সোমবার (১৩ এপ্রিল) সিডিএসসিওর কাছ থেকে অনুমোদনের পর আমরা সবেমাত্র কিট উৎপাদন শুরু করেছি। আমাদের এক সপ্তাহে ১ লক্ষ টেস্টিং কিট তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে। আমরা সরাসরি সেগুলি ICMR-কে সরবরাহ করব। প্রতিদিন ২৫ হাজার কিট তৈরির লক্ষ নিয়ে এগোচ্ছি আমরা। এই ধরনের কিট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান আমেরিকা থেকে আনানো হয়েছে। আমরা চিন থেকেও এর উপাদান আনাতে পারতাম। কিন্তু আমরা আমেরিকা থেকেই আনিয়েছি।” অন্যদিকে ভক্সটুরের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর খুশবু পাস্তাকিয়া জানিয়েছেন, “চিন বা অন্য কোন দেশের সঙ্গে আমাদের কিছু লেনদেন নেই। আমরা কিটগুলি এবং কিট উৎপানের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল তৈরি করছি। আমাদের মাসে এক মিলিয়ন কিট উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা এটি দ্বিগুণ করতে পারি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.