সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিয়রে রাজ্যসভা নির্বাচন। তার আগেই কংগ্রেসের রক্তচাপ বাড়িয়ে গুজরাটের আরও দুই বিধায়ক পদত্যাগ করলেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভার স্পিকার রাজেন্দ্র ত্রিবেদীর সঙ্গে দেখা করেই ইস্তফাপত্র জমা দেন দুই বিধায়ক। ইতিপূর্বে মার্চ মাসে আরও পাঁচজন বিধায়ক পদত্যাগ করেন। এই ঘটনায় রাজ্যসভার আসন জিততে বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে গেরুয়া শিবিরের পালটা দাবি, দলের কার্যকলাপে কংগ্রেসে বিধায়করা অখুশি, তাই দল ছাড়ছেন। প্রসঙ্গত, গুজরাটে রাজ্যসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওযার পর থেকে এ নিয়ে মোট সাত জন বিধায়ক দল ছাড়লেন।
সূত্রের খবর, বুধবার তিন কং বিধায়ক গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির সঙ্গে দেখা করেন। তখন থেকেই কংগ্রেসের দল ভাঙার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। শেষমেশ বৃহস্পতিবার সকালে ভাদোদরার কারজনের বিধায়ক অক্ষয় প্যাটেল ও ভালসাদের কাপরাদার বিধায়ক জিতু চৌধুরী ইস্তফাপত্র জমা করেন। এ প্রসঙ্গে স্পিকার রাজেন্দ্র ত্রিবেদী বলেন, “ওঁদের পদত্যাগপত্র জমা নিয়েছি। বিধায়কের ক্ষমতা হারালেন ওঁর।”
প্রসঙ্গত, গুজরাট বিধানসভায় মোট ১৮২ জন বিধায়ক আছেন। তার মধ্যে ১০৩ জন বিজেপির বিধায়ক। কংগ্রেসের বিধায়ক ৬৬ জন। প্রসঙ্গত, ১৯ জুন রাজ্যসভার চারটি আসনে নির্বাচন। মার্চ মাসে এই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনার দাপটে তা পিছিয়ে যায়। বর্তমানে চারটি আসনের মধ্যে তিনটি বিজেপির দখলে ও একটি কংগ্রেসের। এবারও বিজেপি তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আর কংগ্রেস দু’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছেন। কিন্তু একের পর এক বিধায়ক পদত্যাগ করায় দুটি আসনে নিজেদের প্রার্থীকে জেতানো ক্রমশ কঠিন হচ্ছে বলে মনে কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর এর জন্য বিজেপিকে দায়ি করেছে কংগ্রেস।
গুজরাটের বিরোধী দলনেতা পরেশ ধনানি অভিযোগ করে বলেন, “বিজেপি ক্রমাগত দল ভাঙাচ্ছে। দুর্নীতির টাকা দিয়ে কংগ্রেস বিধায়কদের কিনছে বিজেপি। রাজ্যসভা নির্বাচন জিততে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে গেরুয়া শিবির”। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতা নরহরি আমিন বলেন, “আর কয়েকদিনের মধ্যে আরও কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়বেন। দলীয় নেতৃত্বের কার্যকলাপে অখুশি বলেই তারা দল ছাড়ছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.