সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটল বিশাখাপত্তনমে। মে মাসের গোড়ার দিকে বিশাখাপত্তনমের একটি রাসায়নিক কারখানায় গ্যাস লিক করে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার রেশ চলেছিল বেশ কয়েকদিন। সোমবার রাতে ফের বিশাখাপত্তনমেরই একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিটে গ্যাস লিক করে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪ জন হাসপাতালে ভরতি। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরা সংস্থাটির সাইনর লাইফ সায়েন্সেসের বিশাখাপত্তনম ইউনিটে কাজ করেতেন। তবে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কর্মকর্তাদের মতে, রাত সাড়ে এগারটা নাগাদ গ্যাস লিক করে। খবর পেয়ে শহরের পারওয়াদা এলাকার ওষুধ তৈরি ইউনিট সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশের সিনিয়র অফিসার উদয় কুমার জানিয়েছেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। নিহত দুই ব্যক্তি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। গ্যাস লিকের সময় তাঁরা সেই স্থানে উপস্থিত ছিলেন। ফলে তাঁদের মৃত্যু হয়। গ্যাস অন্য কোথাও ছড়ায়নি।” মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডির অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি এই ঘটনার যথাযথ তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন।
মে মাসের প্রথম দিকে বিশাখাপত্তনমে একটি রাসায়নিক প্ল্যান্টে গ্যাস লিক করে। ঘটনায় দুই শিশু-সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশজুড়ে লকডাউন চলার কারণে ৪০ দিন ধরে বন্ধ ছিল ওই রাসায়নিক প্ল্যান্ট। সেখান থেকেই বিষাক্ত স্টেরিন গ্যাস লিক হয়। ঘটনার পর আশেপাশের তিনটি গ্রাম থেকে মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাটি উসকে দেয় ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার স্মৃতি। ইতিহাসের সেটি ছিল অন্যতম ভয়াবহ শিল্প বিপর্যয়। প্রায় ৩ হাজার ৫০০ লোক ওই দুর্ঘটনায় মারা যান। সরকারি পরিসংখ্যানের হিসেব অনুযায়ী কমপক্ষে এক লাখ মানুষ দীর্ঘস্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.