সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্র বনাম টুইটার (Twitter) তরজায় নয়া মোড়। কার্যত শক্তিপ্রদর্শন করে এবার ভারতের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ‘ব্লু টিক’ মুছে দেয় মার্কিন মাইক্রো-ব্লগিং সাইটটি। তবে উপরাষ্ট্রপতির অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টটিতে ব্লু ব্যাজ রয়েছে।
Twitter withdraws blue verified badge from personal Twitter handle of Vice President of India, M Venkaiah Naidu: Office of Vice President pic.twitter.com/vT8EZ5O9Na
— ANI (@ANI) June 5, 2021
কেন্দ্রের মোদি সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া নীতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল ফেসবুক (Facebook) হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ও টুইটার (Twitter)। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তরজা। মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। ভারতে ব্যবসা করতে হলে কেন্দ্রের ডিজিটাল মিডিয়ার আইন মেনে চলতে হবে বলে সাফ নির্দেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। তারপরই সুর নরম করে টুইটার। সংস্থাটি জানায়, দেশের আইন মেনেই ইউজারদের গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু মামলা যে আদৌ মেটেনি তা স্পষ্ট করে এবার উপরাষ্ট্রপতির পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট থেকে ‘ব্লু টিক’ মুছে দেয় মার্কিন মাইক্রো-ব্লগিং সাইটটি। যদিও কয়েক ঘণ্টা পরে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বলে রাখা ভাল, টুইটারে কোনও ইউজারের নামের পাশে ‘ব্লু টিক’ থাকার অর্থ হচ্ছে অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড। সহজ ভাষায়, ওই ব্লু টিক বা ব্যাজের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয় যে অ্যাকাউন্টটি ওই ব্যক্তিরই।
Twitter restores blue verified badge on Vice President of India M Venkaiah Naidu’s personal Twitter handle. pic.twitter.com/teAFmg4iVz
— ANI (@ANI) June 5, 2021
এদিকে, টুইটারের এহেন আচরণে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। টুইটারে ট্রেন্ডিং #VicePresidentOfIndia। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়সীমাও। ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ডিজিটাল কনটেন্ট সংক্রান্ত ওই নয়া নির্দেশিকা জারি করে তা কার্যকর করার জন্য ৩ মাস সময় দিয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে গত ২৫ মে। তারপরও সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের বিবাদ অব্যাহত। ফেসবুকের তরফে নিঃশর্তে কেন্দ্রের নতুন গাইডলাইন মানার ইঙ্গিত দেওয়া হলেও বেঁকে বসে হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটার (Twitter)। সরকারের নতুন নিয়মের বিরোধিতা করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। তাদের অভিযোগ ছিল, এর ফলে বিঘ্নিত হবে গ্রাহকদের গোপনীয়তা। কেননা নয়া নিয়ম মেনে হোয়াটসঅ্যাপে করা প্রতিটি মেসেজের দিকে নজর রাখতে গেলে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’নিয়ম ভঙ্গ হয়ে যাবে। একইভাবে টুইটারও জানিয়েছিল ভারতের এই নয়া আইন বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু শেষমেশ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের মতোই এবার টুইটারও কেন্দ্রের শর্ত মেনে নিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.