সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যমজ ভাই। জন্মের সময় ব্যবধান ছিল মাত্র দু’মিনিট৷ কিন্তু অন্য কোনও কিছুতেই দু’জনের মধ্যে কোনও ব্যবধান নেই৷ সবকিছুতেই তারা যেন হরিহর আত্মা। এমনকী মাধ্যমিকের ফলেও এর প্রভাব পড়েছে। সেখানেও দু’জনেই একই নম্বর পেয়েছে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে মহম্মদবাজারের কাঁইজুলি গ্রামে। দুই ভাইয়ের নাম সৌপ্তিক চক্রবর্তী ও ঋত্বিক চক্রবর্তী। দু’জনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৭। শনিবার ফল প্রকাশের পরেই তাই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে গোটা চক্রবর্তী পরিবার।
জানা গিয়েছে, দুই যমজ ভাই-ই স্থানীয় কাঁইজুলি স্কুলের ছাত্র। তাই বরাবর একই ক্লাসে পড়াশোনা, স্কুলে যাওয়া, বেড়াতে যাওয়া এমনকী সিনেমা দেখতে গেলেও দু’জনে একসঙ্গে যেত৷ কিন্তু প্রথম শ্রেণি থেকে এতদিন কোনও পরীক্ষায় একই নম্বর ওঠেনি দু’জনের৷ এই প্রসঙ্গে মা শ্রাবন্তী চক্রবর্তী বলেন, ‘যে ভাই কম পেত তার মুখ ক’দিন ভার হয়ে থাকত৷ তাই এবার প্রার্থনা করেছিলাম, দুই ভাই যেন একই নম্বর পায়৷ অঙ্ক, ভূগোল, ইতিহাসে দু’জনের একই নম্বর৷ ৯৬, ৮৭, ৯৭ তারপরে ঋত্বিক ইংরেজিতে ৯৮ তো সৌপ্তিক তার থেকে এক নম্বর কম৷ কিন্তু শেষপর্যন্ত যোগফলে দু’জনেই এক৷’ বাবা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, ‘ভগবান দু’জনকে একসঙ্গে একভাবেই পাঠিয়েছেন৷ তাদের ভবিষ্যত্ লিখনও একইভাবে লিখছেন৷ দু’জনেই সফল হওয়ায় আমার যমজ আনন্দ৷’
গোটা রাজ্যে শনিবারই প্রকাশ পেয়েছে নতুন মডেলে মাধ্যমিকের ফল। ব্যাপক হারে বেড়েছে সাফল্যের হার৷ ২০১৬ সালের ৮২.৭৬ শতাংশকে ছাপিয়ে এবার মোট সাফল্যের হার ৮৫.৬৫ শতাংশ৷ ৬৯০ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষায়তন হাই স্কুলের অন্বেষা পাইন৷ ৬৮৯ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা স্কুলের মোজাম্মল হক ও হুগলির রামনগর হাই স্কুলের অনির্বাণ খাঁড়া৷ সম্ভাব্য তৃতীয় দীপ্তেশ পাল৷ তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭৷ কলকাতা থেকে প্রথম দশে ঠাঁই হয়েছে মধুমন্তী দে ও সৌম্যজিৎ বসাকের৷ দুই জনই নবম স্থান অধিকার করেছে৷ কিন্তু দুই ভাইয়ের কীর্তি নিঃসন্দেহে অতুলনীয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.