সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষ স্বস্তি। প্রায় এক মাসেরও বেশি বিদেশের বিমানবন্দরে আটকে থাকার পর বাড়ি ফিরতে পারলেন দুই যমজ ভাই। বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের চেনা শহর কেরলে পৌঁছলেন তাঁরা।
কেরলের কোঝিকোরের বাসিন্দা জ্যাকসন ও বেনসন অ্যান্ড্রিউ। লকডাউ শুনে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় করেও দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ১৯ মার্চ থেকে আটকে পড়েন তাঁরা। জানা যায়, লিসবনে কাজ করতে গিয়ে গিয়েছিলেন ৩০ বছর বয়সী এই দুই ভাই। সেখানে করোনার সংক্রমণ দেখা্ দিলে তারা ভারতে ফেরার চেষ্টা করেন। তবে ভারতেও ততদিনে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আন্তর্জাতিক ও আন্তঃরাজ্য সমস্ত বিমান পরিষেবা বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে লিসবন থেকে পোর্তুগাল হয়ে ফেরার পথে দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আটকে পড়েন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে এই বিমান বন্দরে আরও ১৯ জন ভারতীয়ও আটকে পড়েন বলে জানা যায়। ভারতীয় সরকারের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে ১৭৭ জন ভারতীয়-সহ এই দুই ভাই বাড়ি ফেরেন। প্রায় একমাসের স্মৃতিচারণ করে জ্যাকসন জানান, “আমি ও আমার ভাই বিগত ২ বছর ধরে লিসবনের একটি কোম্পানিতে কাজ করছি। হঠাৎ ইউরোপে করোনা ভাইরাসের সংক্রম বেড়ে যাওয়ায় আমরা বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিই। তার তাতেই বিপত্তি হয়। ১৮ মার্চ লিসবন থেকে বিমানে দুবাই পৌছই। সেখান থেকে ভারতে ফেরার বিমানে উঠলে আমাদের থেকে ভারতে ফেরার অনুমতি আছে কিনা সেই কাগজ দেখতে চাওয়া হয়। যেহেতু আমরা ইউরোপ থেকে ফিরছিলাম তাই আমাদের থেকে কাছে তখন সেই অনুমতি পত্র ছিল না। ফলে আমরা দুবাইয়ের বিমানবন্দরেই আটকে পড়ি। তবে মঙ্গলবার রাতেই ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে একটি চিঠি পাই। সেখানে আমাদের ভারতে ফিরে যাওয়ার বিমানের টিকিট পাঠিয়ে দেওয়া হয়।” দুবাইয়ে ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধি নীরজ আগরওয়াল জানান, “ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী দুবাই থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের দ্রুত ভারতে ফেরত পাঠানো হবে।”
সোমবারই সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় যে ৭ মে থেকে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। প্রায় ১৩ টি দেশের ৬৪টি বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য। ৭ মে থেকে ১৩ মের মধ্যে ১৫ হাজার ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.