সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্রাবিড়ভূমে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট। শশীকলাকে এডিএমকে থেকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরই গর্জে উঠলেন তাঁর অনুগামীরা। মঙ্গলবার শশী শিবিরের ১৯ জন বিধায়ক পালানিস্বামী সরকার থেকে সমর্থন তুল নেন। এখনই আস্থা ভোট হলে সরকার পড়ে যাবে। সোমবার এডিএমকের দুই যুযুধান শিবির মিলে গিয়েছিল। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাঘাত এল শশী অনুগামীদের থেকে। এই পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে নেমে পড়েছেন এম কে স্টালিন। সংখ্যালঘু সরকার ফেলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এই ডিএমকে নেতা। এডিএমকের ক্ষমতাসীন শিবিরকে শিক্ষা দিতে গোপন রিসর্টে পৌঁছে গিয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা।
শত্রুতা ভুলে হাত মিলিয়েছে ওপিএস-ইপিএস শিবির। মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দুই নেতা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। তারপরই এডিএমকে দল থেকে জেলবন্দি শশীকলাকে মুছে ফেলার কাজ শুরু হয়। নেত্রী কোণঠাসা হওয়ার পর তাঁর অনুগামীরা প্রত্যাঘাত শুরু করলেন। শশীকলা শিবির এখন পরিচালনা করেন দিনাকরণ। দিনাকরণ ঘনিষ্ঠ ১৯ জন বিধায়ক এদিন আচমকা সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানান। এই নিয়ে রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাওকে বিক্ষুব্ধ বিধায়করা চিঠি লেখেন। চারপাতার চিঠিতে লেখা হয় ক্ষমতার লোভে মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী এবং পন্নিরসেলভম কাছাকাছি এসেছেন। এই বক্তব্য প্রমাণে শশী অনুগামীদের দাবি আগস্ট মাসের শুরুতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পন্নিরসেলভম বলেছিলেন পালানিস্বামীর সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, তিন সপ্তাহের কী এমন হল যে এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের শরিক হয়ে গেলেন ওপিএস। এডিএমকের মোট বিধায়ক সংখ্যা ১৩৪। সরকার গড়তে হলে ম্যাজিক ফিগার ১১৭। ১৯ জন বিধায়ক সমর্থন তুলে নেওয়ায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে সরকার। সরকার ফেলে দিতে একেবারে আঁটঘাঁট বেধে নেমেছে বিক্ষুব্ধরা। শশীকলা ঘনিষ্ঠ দিনাকরণ শিবিরের এই ১৯ জন বিধায়ককে পুদুচেরির একটি রিসর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তামিলনাড়ুতে নতুন করে ডামাডোল শুরু হওয়ায় রক্তের স্বাদ পেয়েছে ডিএমকে। করুণানিধির দলে নেতা এম কে স্টালিনের দাবি ২২জন বিধায়ক সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন। আস্থাভোটের জন্য রাজ্যপালের কাছে চিঠি লিখেছেন স্টালিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.