সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৭ দিন পর উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিক। অধীর আগ্রহে তাঁদের অপেক্ষায় ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এক সময় সেই ভালো সময় এলোও। কিন্তু ‘নরককুণ্ড’ থেকে ফিরে আসা ছেলেকে দু চোখ ভরে দেখার আগেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন এক শ্রমিকের বাবা। ছেলের জন্য অত্যধিক উদ্বেগের কারণেই বেদনার এই ঘটনা, জানিয়েছে পরিবার।
পিটিআই সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম বাসেত ওরফে বার্সা মুর্মু। ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার বহদা গ্রামের বাসিন্দা। উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সিল্কিইয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে থাকা বছর আঠাশের শ্রমিক ভাক্তুর বাবা তিনি। বুধবার তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে পরিবার। মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ মারা যান বাসেত। এই বিষয়ে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ছেলের জন্য খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন বাসেত। দিন-রাত চিন্তা করছিলেন ছেলের স্বাস্থ্য নিয়ে। কখন সুড়ঙ্গ থেকে সকলকে উদ্ধার করা হবে, সেই খবরের অপেক্ষায় ছিলেন।
ঘটনার দিন সকালবেলা পরিবারের সকলের সঙ্গে ভাক্তুকে নিয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময় হঠাৎ খাট থেকে পড়ে যান। তার পরই মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে বাসেতের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানানো হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাসেত। সুড়ঙ্গমুক্তির আনন্দের মাঝে এই খবরে মর্মাহত সকলে।
বলে রাখা ভালো, ভাক্তুর মতোই ওই সুড়ঙ্গে আটকে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের আরও ১৪জন। মঙ্গলবার উদ্ধারের পরই শ্রমিকদের একে একে পাঠানো হয়েছিল অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্পে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেখান থেকে তাঁদের গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে চিনিয়ালিসৌরের হাসপাতালে। এর পর শ্রমিকদের চিনুক কপ্টারের মাধ্যমে এয়ারলিফট করে নিয়ে যাওয়া হয় হৃষিকেশের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ (এইমস)। সেখানে তাঁদের বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। এর পর বুধবার হৃষিকেশের এইমস-এর (AIIMS) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মীনু সিং জানান, প্রত্যেক শ্রমিক সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.