সুব্রত বিশ্বাস: টিকিট বা সিট নিয়ে দূরপাল্লার ট্রেনে সমস্যায় পড়লে যাত্রীরা টিকিট পরীক্ষককে হন্নে হয়ে খুঁজতে শুরু করেন। এবার শৌচালয় অপরিচ্ছন্ন বা শৌচালয়ে মগ না থাকলে ডাক পড়বে টিটিইবাবুর। তিনিই এই সমস্যার সমাধান করবেন। চলতি মাসে প্রতিটি জোনাল রেলকে এবিষয়ে নির্দেশনামা দিচ্ছে রেল বোর্ড।
এতদিন এসি কামরার পরিচ্ছন্নতা ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে লক্ষ রাখতেন টিকিট পরীক্ষকরা। এবার সেই অধ্যায়ের বাড়তি সংযোজন ঘটাচ্ছে রেল বোর্ড। শুধু এসি কোচই নয়, নজর রাখতে হবে স্লিপার ও সাধারণ অসংরক্ষিত কামরাতেও। যদিও এই পদ্ধতিতে কাজ করতে টিটিইদের অসুবিধা হবে না বলে মনে করেছেন বোর্ড কর্তারা। তবুও অধিকাংশ টিকিট পরীক্ষক মনে করেছেন, এই কাজ করতে অসুবিধা হবে। তাঁদের যুক্তি, যে কামরায় টিকিট পরীক্ষার দায়িত্ব থাকবে, সেখানে নজর রাখা গেলেও অন্য কামরায় নজর রাখা অসুবিধার সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে ট্রেনের পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে। সেক্ষেত্রে টিকিট পরীক্ষকের নির্দেশ তাঁরা বিশেষ পাত্তা দেবেন না। বস্তুত, অংসরক্ষিত কামরা ভিড় এতটাই বেশি হয় যে, শৌচালয়ে নজর রাখাও মুশকিল বলে মনে করছেন টিকিট পরীক্ষকরা।
রেল বোর্ডের নির্দেশে থাকছে, স্লিপার ও সাধারণ কামরায় পরিচ্ছন্নতা ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে এবার নজর রাখবেন টিটিইরা। সমস্যা সমাধানেও ব্যবস্থাও নিতে হবে তাঁদেরই। কামরা থেকে শৌচালয় অপরিচ্ছন্নতা, পানীয় জলের সমস্যা সবই দেখার সঙ্গে যে স্টেশনে কোচ পরিচ্ছন্নতার কাজ হয়, সেখানে গিয়ে তদারকিও করবেন টিটিইরা। প্রয়োজনে যাত্রীদের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন করবে টিটিই। পাশাপাশি তাঁদের কাছ থেকে পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে মতামত সংগ্রহ করবেন। পরিচ্ছন্নতার উপর রেল আগেই বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে। তবুও এই বিষয়ে বেশ খামতি রয়েছে বলে রেল বোর্ডের কাছে বারবার অভিযোগ এসেছে। যাত্রী পরিষেবার এই অভিযোগ অনভিপ্রেত বলে মনে করেছেন রেলকর্তারা। তাই এনিয়ে পদক্ষেপ করার মতো দায়িত্বপূর্ণ পদ চলন্ত ট্রেনে একমাত্র টিটিইবাবুই। তাই এবার এই পরিষেবা দেখভালে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তাঁদেরই। যদিও টিকিট পরীক্ষকরা জানিয়েছেন, যেখানে চেকিংয়ের দায়িত্ব সেখানে সুপারভাইস করা যেতেই পারে। কিন্তু অন্য কামরাতে তদারকিতে কাজের সমস্যা বাড়বে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.