Advertisement
Advertisement
Truck strike

উঠল দেশজুড়ে চলা ট্রাক ধর্মঘট, তবু রাতভর দীর্ঘ লাইন পেট্রল পাম্পে

কেন্দ্রের আশ্বাসের পরই হরতাল বন্ধের সিদ্ধান্ত ট্রাক সংগঠনগুলির।

Truckers’ strike ‘ends’, but panic-buying steals the show। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:January 3, 2024 9:30 am
  • Updated:January 3, 2024 9:48 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উঠে গেল দেশজুড়ে ট্রাক চালকদের ডাকা ধর্মঘট। মঙ্গলবার রাতেই হরতাল তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাক সংগঠনগুলি। ভারতীয় দণ্ড সংহিতার (Nyaya Sanhita) নয়া আইনে হিট এন্ড রানের (Hit & Run) যে সংস্থান রয়েছে তা নিয়ে আপত্তি আন্দোলনকারীদের। আইনটি কার্যকর করার আগে বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এর পরই ধর্মঘট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনগুলি।

ঠিক কী কারণে ডাকা হয়েছিল ধর্মঘট? এর নেপথ্যে রয়েছে ভারতীয় দণ্ড সংহিতার (Nyaya Sanhita) নয়া আইন। ব্রিটিশ আমলে তৈরি ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বাতিল করে এবার কার্যকর হবে দণ্ড সংহিতা। পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে নতুন সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে। বলা হয়েছে, হিট এন্ড রানের (Hit & Run) ক্ষেত্রে কারওর মৃত্যুর পর যদি গাড়ির চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান, তাহলে ৭ থেকে ১০ বছরের সাজা হবে তাঁর। ৭ লক্ষ টাকা জরিমানাও গুনতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানালেও এই সাজার মুখে পড়বেন গাড়ি চালকরা। অথচ এর আগে হিট অ্যান্ড রানের ঘটনায় আলাদা করে কোনও শাস্তির উল্লেখ ছিল না। পথ দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে দোষীকে সর্বোচ্চ দুবছরের জেলের সাজা দেওয়া হত। জরিমানার শাস্তিও দেওয়া হত অনেক ক্ষেত্রে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভয়ংকর দুর্ঘটনা অসমে, বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত অন্তত ১৪]

নতুন দণ্ড সংহিতার হিট অ্যান্ড রান আইনে চালকদের ভিলেন বানানো হয়েছে বলে দাবি ছিল ট্রাক সংগঠনগুলির। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। সেখানেই তিনি আশ্বাস দেন। আইন কার্যকর করার আগে বিবেচনা করে দেখা হবে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য। এই আশ্বাসের পরই ধর্মঘটের রাস্তা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। 

যদিও ধর্মঘট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পরও রাত পর্যন্ত আতঙ্ক বজায় ছিল। লখনউ, কানপুর, উন্নাওয়ের মতো উত্তরপ্রদেশের বহু শহর এবং দেশের অন্যত্রও রাতভর পেট্রল পাম্পের সামনে দীর্ঘ লাইন নজরে আসে। আসলে দেশজুড়ে ট্রাক ধর্মঘট চলতে থাকলে আগামী কয়েকদিনে জ্বালানির ব্যাপক সংকট দেখা দেবে- এই আশঙ্কা মঙ্গলবার দুপুর থেকেই দানা বাঁধে। সেই জের রাত পর্যন্ত বজায় ছিল, ধর্মঘট তুলে নেওয়ার ঘোষণার পরও।

[আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রসচিব পদে নন্দিনীর নিয়োগকে ‘অবৈধ’ বলছেন শুভেন্দু, ‘ওর গা জ্বলছে’, পালটা কুণালের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement