সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজ ও খাবারের সন্ধানে বাংলাদেশে যাতায়াত করেন ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির আদিবাসীরা। মঙ্গলবার এই দাবিই করলেন ত্রিপুরার সিপিএম বিধায়ক রতন ভৌমিক। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “গত রবিবার সিপিএমের একটি প্রতিনিধি দল আগরতলা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ধলাই জেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে তারা লক্ষ্য করে গ্রামবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগই ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত। কেউ কেউ মারাও গিয়েছেন। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্যই নেই। পাশাপাশি সেখানে খাদ্য ও পরিশ্রুত পানীয় জলের প্রচণ্ড অভাব রয়েছে। নেই ঠিকঠাক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও। ১০০ দিনের কাজ-সহ কোনও সরকারি প্রকল্পের কাজও হয় না। ফলে ওই এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা কাজ ও খাবারের সন্ধানে প্রায়শই বাংলাদেশ প্রবেশ করেন।”
এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ধলাই জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলির বাসিন্দারা এতটাই গরিব যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে পারেন না। আর্থিক অনটনই এখানকার প্রধান সমস্যা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশিরভাগই গত ৪-৫ মাসে কোনও কাজ পাননি।”
গত রবিবার ধলাই জেলা পরিদর্শনের পর ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য সচিব সমরজিৎ ভৌমিকের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেয় সিপিএম। তাতে ম্যালেরিয়া প্রভাবিত গ্রামগুলিতে অবিলম্বে বিশেষ স্বাস্থ্য শিবির করার কথা বলা হয়েছে। ওই এলাকাগুলির বাসিন্দাদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পরিশ্রুত পানীয় জল ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুন মাসে লোকসভায় প্রথম এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন স্থানীয় সিপিএম সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরি। কিন্তু, সেসময় বিষয়টি অস্বীকার করেছিল রাজ্যের শাসকদল বিজেপি। এপ্রসঙ্গে ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ। গভীর ষড়যন্ত্রের একটা অংশ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.