প্রণব সরকার আগরতলা: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে ত্রিপুরায় ধাক্কা খেল বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রবীণ আইনজীবী পীযুষকান্তি বিশ্বাস। একই সঙ্গে তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদও ছাড়লেন তিনি।
ত্রিপুরার গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে পীযুষকান্তি বিশ্বাসকে (Pijush Kanti Bishwas) রাজ্য সভাপতি করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে বিধানসভায় তেমন সাফল্য আসেনি। একটি আসনও জিততে পারেনি ঘাসফুল শিবির। সব প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেসময় ত্রিপুরা তৃণমূলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন সুস্মিতা দেব ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের পর এক-দু’বার সেরাজ্যে গিয়েছিলেন সুস্মিতা দেব (Susmita Deb)। কিন্তু তখনও পীযুষকান্তি বিশ্বাসকে তাঁর সঙ্গে দেখা যায়নি। ছেড়ে দিয়েছিলেন পার্টি অফিসে যাওয়াও।
তৃণমূল ত্রিপুরায় (Tripura) বেশ কিছুদিন ধরেই সংগঠন শক্ত করার কাজ করছে। গত পুরসভা নির্বাচনে সেরাজ্যে ভাল ফলও করেছিল ঘাসফুল শিবির। কিন্তু বিধানসভায় সেই ফলাফলের পুনরাবৃত্তি হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনের পরে সম্ভবত সেকারণেই শক্তিক্ষয় হচ্ছে এরাজ্যের শাসকদলের। কিছুদিন আগে তৃণমূলের পুরনো সৈনিক আশিসলাল সিংও দল ছেড়েছেন। এবার ছাড়লেন পীযুষও। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এই ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী।
পেশায় আইনজীবী পীযুষবাবু দীর্ঘদিন ধরে ত্রিপুরার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বেশ কিছুদিন প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতিও ছিলেন তিনি। সুদীপ রায়বর্মণ কংগ্রেসে (Congress) প্রত্যাবর্তনের আগেই তিনি দল ছাড়েন। তারপর তৃণমূলে যোগ দিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি হন। এবার তিনি কোন দলে যোগ দেন সেটাই দেখার। সূত্রের খবর, কংগ্রেস এবং বিজেপি, দুই দলেরই প্রস্তাব আছে পীযুষবাবুর কাছে। তবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চাইছেন না প্রবীণ আইনজীবী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.