Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে চির ধরাতেই সাম্প্রদায়িক অশান্তি, অভিযোগ বিপ্লব দেবের

অশান্তির পিছনে রয়েছে মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্র, দাবি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর।

Tripura CM Biplab Deb accused Fundamentalist for Bangladesh Violence | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:October 19, 2021 9:09 pm
  • Updated:October 19, 2021 9:09 pm

প্রণব সরকার, আগরতলা: বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের উপর হামলার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। দু’দেশের সম্পর্ক নষ্ট করতেই এই অশান্তি পাকানো হয়েছে। এমনই দাবি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের (Biplab Kumar Deb)। এখনও কেন সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

বিপ্লব দেবের কথায়, “দুই দেশের মধ্যে মৈত্রীর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এই সম্পর্ক নষ্ট করার জন্যই মৌলবাদীরা ষড়যন্ত্র করছে।” তিনি আরও বলেছেন, “বাংলাদেশের সরকারের উপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ প্রশাসন শক্ত হাতে এর মোকাবিলা করবে।” পাশাপাশি তিনি সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, এধরনের ঘটনা বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পট্টনায়েক, কেজরিওয়ালদের পিছনে ফেলে দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, বলছে সমীক্ষা]

এই ঘটনার সঙ্গে মৌলবাদী শক্তিগুলো জড়িত বলে দাবি করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। দু’জনের মধ্যে প্রায় সময় বিভিন্ন ইস্যুতে টেলিফোনে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় স্তম্ভিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব।

ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের ৮৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বাংলাদেশের ১৬ লক্ষ লোককে আশ্রয় দিয়েছিল ত্রিপুরা। তখন ত্রিপুরার জনসংখ্যা ছিল ১৫ লক্ষ। ত্রিপুরা বাংলাদেশের হাইকমিশনে দফায় দফায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হচ্ছে। ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার জোবায়েদ হোসেন বলেছেন, “বাংলাদেশে সম্প্রীতি রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।” রাজ্যেও শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: হিন্দু সংস্কৃতির অবমাননার অভিযোগ! চাপে পড়ে বিজ্ঞাপন সরাল পোশাক নির্মাতা সংস্থা]

শারদোৎসব শুরুর সময় থেকেই বাংলাদেশের কুমিল্লা, চাঁদপুর সহ কয়েকটি জেলায় ধর্মীয় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বেশকিছু ধর্মীয় স্থাপত্য নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার মোকাবিলায় প্রতি এলাকাতেই সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ সরকার। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সেদেশের প্রগতিশীল বেশ কয়েকটি সংগঠন। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশের বামপন্থী দলগুলো।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement