সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে লড়াই কেবল সংসদের ভিতরে ও বাইরেই চলছে না, আরও একটা যুদ্ধ চলছে উইকিপিডিয়ায়৷ আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, যুদ্ধ চলছে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের উইকিপিডিয়া প্রোফাইলে৷ গত তিনদিনে ৩৭ বার এডিট করা হয় সেই প্রোফাইল৷ বিতর্ক তৈরি হয়, একটি প্রশ্নে৷ কোন দেশে জন্মেছেন বিপ্লব দেব, ভারত নাকি বাংলাদেশ? সমস্যায় রাশ টানতে অবশেষে মুখ খোলেন খোদ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী৷ জানান, বাংলাদেশ নয়, ভারতেই জন্মেছেন তিনি৷
[রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠান বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি, গ্রেপ্তার মন্দিরের পুরোহিত]
গত ৩০ জুলাই প্রকাশিত হয় অসমের এনআরসি তালিকা৷ যা নিয়ে এখনও বিস্তর রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে দেশজুড়ে৷ অসমে এনআরসি হলেও, পাশের রাজ্য ত্রিপুরায় নাগরিকপঞ্জিকরণের কোনও প্রয়োজন নেই বলে আগেই জানিয়ে দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব৷ কিন্তু এরপরেই কোপ পড়ে তাঁর নিজের উইকিপিডিয়া প্রোফাইলে৷ জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা বেজে ৩৮ মিনিট থেকে রবিবার পর্যন্ত বারবার এডিট করা হয় বিপ্লব দেবের উইকি প্রোফাইল৷ এডিটের সংখ্যাটা ৩৭৷ সমস্যা তৈরি হয়, কোন দেশে মুখ্যমন্ত্রী জন্মেছেন সেই প্রশ্নে৷ কখনও প্রোফাইলে লেখা হয় ত্রিপুরার গোমতী জেলায় জন্মেছেন মুখ্যমন্ত্রী, আবার কখনও লেখা হয় বাংলাদেশের চাঁদপুরে৷ কেবল জন্মগ্রহণের দেশ নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়নি৷ সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বারবার এডিট হয় তাঁর উইকি প্রোফাইলের ‘Early Life’ বিভাগ৷ সেখানে প্রথমে লেখা হয়, ‘ অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করার পর, তিনি তাঁর শৈশব ও স্কুল জীবন কাটান ত্রিপুরায়৷’ পরক্ষণেই বদলে লেখা হয়, ‘ ১৯৭১-এর ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশে জন্মান বিপ্লব দেব৷ এরপর ১৯৭১-এ তাঁর বাবা-মা বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হিসাবে ভারতে প্আরবেশ করেন’৷
[সরকার চাইলে এনআরসি-তে নাম থাকত, অনুযোগ বাংলার মেয়ের]
জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট বিব্রত মুখ্যমন্ত্রী৷ সমস্ত বিতর্ক উড়িয়ে রবিবার তিনি মুখ খোলেন৷ জানান, ভারতেই তাঁর জন্ম হয়েছে৷ বাকি সব রটনা৷ বিষয়টি তাঁদের নজর এড়ায়নি বলে জানান বিপ্লব দেবের মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় মিশ্র৷ তিনি বলেন, সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট ১৯৫৫ অনুসারে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাবা হর্ষবর্ধন দেব৷ ১৯৬৭ থেকে তিনি, পরিবারের সঙ্গে ত্রিপুরার উদয়পুরে বসবাস করছেন৷ অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে, ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিভ্রাট ঘটানো হচ্ছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.