Advertisement
Advertisement

Breaking News

ত্রিপুরা

মূল স্রোতে ফেরার তাগিদ! ত্রিপুরায় আত্মসমপর্ণ ৮৮ জন জঙ্গির

শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এনএলএফটি নেতারা।

Tripura: 88 NLFT militants surrender, will join mainstream
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 13, 2019 5:54 pm
  • Updated:August 13, 2019 5:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার দিল্লি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল। আর মঙ্গলবার সেই চুক্তি মেনে আত্মসমপর্ণ করল ন্যাশনাল লিবারেশন ফোর্স অফ ত্রিপুরা(এনএলএফটি-এসডি)র ৮৮ জন জঙ্গি। মঙ্গলবার ধলাই জেলার আমবাসা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে দেখা করে অস্ত্র ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। চান্দরাইপাড়া উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী এম জিষ্ণু দেব বর্মন, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, ডিজিপি রাজীব সিং-সহ অন্যান্যরা।

[আরও পড়ুন: সরকারকে সময় দিতে হবে, কাশ্মীর নিয়ে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের]

বেশ কয়েক বছর ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা ত্রিপুরার ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে শান্তি চুক্তি হয় সরকারের। শনিবার দিল্লিতে ন্যাশনাল লিবারেশান ফ্রন্ট অব ত্রিপুরার (এনএলএফটি-এসডি) সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও ত্রিপুরা সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী জঙ্গি সংগঠনটির ৮৮ জন সদস্য অস্ত্র-সহ ১৩ তারিখ আত্মসমর্পণ করবে বলে জানানো হয়েছিল। আত্মসমর্পণ করা জঙ্গিদের সরকারি পুনর্বাসন প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় রাজ্যের তরফে। সরকার তাদের বাড়ি, চাকরি, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সাহায্য করবে বলেও জানায়। রাজ্যের উপজাতি এলাকার উন্নয়নের জন্য ত্রিপুরা সরকার যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে, সেগুলিও কেন্দ্রীয় সরকার বিবেচনা করবে বলে জানা যায়।

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিশ্বমোহন দেববর্মার নেতৃত্বাধীন এনএলএফটি একসময় ত্রিপুরায় বড় ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৯৭ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় তাদের। কিন্তু, ২০০৫ সালের পর থেকে এনএলএফটি-এর হামলার ৩১৮টি ঘটনায় ২৮ জন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান এবং ৬২ জন সাধারণ মানুষের মূত্যু হয়েছে।

[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন রাহুল, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে যাবেন কাশ্মীরে!]

বিশ্বমোহন আত্মগোপন করার পর এনএলএফটি-এর নেতৃত্বে মূলত ছিলেন সুবীর দেববর্মা। দিল্লিতে চুক্তি সইয়ের সময় সে উপস্থিত ছিল। চুক্তি করার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে এনএলএফটি নেতারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement