সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে তিন তালাককে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করাই শুধু নয়, এই প্রথা বন্ধ করতে কেন্দ্রকে আইন করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। কিন্তু, তাতেও দেশের নাগরিকদের একাংশের হুঁশ ফেরেনি তা দেখা গেল হায়দরাবাদে। পীর বাবার তেলে মেখেও স্ত্রীর পুত্রসন্তান হয়নি। ১০ লক্ষ টাকা পণ দিতেও রাজি নয় মেয়ের বাড়ির লোকেরা। তাই এক মুসলিম মহিলাকে তিন তালাক দিয়ে দিল তাঁর স্বামী! ঘটনায় অভিযুক্ত পীরবাবা ও হাবিবা ফতেমা নামে ওই মহিলার শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাবিবার স্বামীর বিরুদ্ধেও মামলা রুজু হয়েছে।
[মোদির টিমে যোগদান ৯ মন্ত্রীর, পদোন্নতি হল কার কার?]
গত বছরের আগস্টে হায়দরাবাদ শহরের নামপল্লির বাসিন্দা হবিবা ফতেমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মহম্মদ মনসুরের। কর্মসূত্রে আবু ধাবিতে থাকেন মনসুর। হায়দরাবাদে শ্বশুর- শাশুড়িকে নিয়ে থাকতেন হাবিবা। মাসখানেক আগে সন্তানসম্ভবা হন তিনি। অভিযোগ, পুত্রসসন্তান না হলে তালাক দেওয়া হবে। হাবিবাকে লাগাতার এমন হুমকি দিতেন তাঁর শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা। যদিও গর্ভস্থ ভ্রুণের কোনও লিঙ্গ পরীক্ষা করা হয়নি। বরং নাতি পাওয়ার আশায় এক পীরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাবিবার শ্বশুর ও শাশুড়ি। ‘ম্যাজিক’ তেল দিয়েছিলেন পীর বাবা। বলেছিলেন, হাবিবা যদি রোজ পেটে তেল মালিশ করেন, তাহলে তাঁর পুত্রসন্তান হবে। কিন্তু, বাস্তবে তা হয়নি। গত ১৫ মে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন হাবিবা। এরপরই হবিবার বাড়ির লোকের কাছে দশ লক্ষ পণ দাবি করা হয়।
[এবার গবাদি পশুদেরও থাকবে নিজস্ব UID নম্বর!]
এই ঘটনায় হাবিবার স্বামী মনসুরও বাবা-মায়েরই পক্ষ নেয়। আবু ধাবি থেকে স্ত্রীকে তালাকের নোটিস পাঠিয়ে দেন। মনসুর জানান, দু’জন সাক্ষীর সামনে শরিয়ত আইন মেনে হাবিবাকে তালাক দিয়েছেন। আর এতেই ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় হাবিবার। শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী ও পীর বাবার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ জানান তিনি। স্বামী বাদে বাকি তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাবিবার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
[শিখদের গুরুদ্বারে ইদের নমাজ পড়লেন মুসলিমরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.