Advertisement
Advertisement

Breaking News

mob lynching

মহারাষ্ট্রে সাধুদের পিটিয়ে মারার ঘটনায় বাড়ছে উত্তেজনা, উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি বিজেপির

এখনও পর্যন্ত ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।

Triple-lynching case in Maha''s Palghar: BJP demands probe
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:April 20, 2020 12:30 pm
  • Updated:April 20, 2020 12:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পালঘরের একটি গ্রামে কিডনি চোর সন্দেহে জুনা আখড়ার সাধুদের পিটিয়ে মারার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্রে। পাশবিক এই ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবুও লকডাউন (Lock down) -এর মাঝে এই ধরনের ঘটনা কী করে ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে চারিদিকে। উদ্ধব ঠাকরের প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়ে বিজেপি।

তিনদিন আগে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসার ঝড় উঠেছে গোটা দেশে। ভিডিওটি দেখার পর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবিস বলেন, পালঘরে ঘটে যাওয়া গণপিটুনির এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও অমানবিক। বিশেষত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গোটা দেশজুড়ে যখন লকডাউন চলছে তখন এই ধরনের পাশবিক ঘটনা প্রচণ্ড আঘাত দিয়েছে। তাই আমি মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে অবিলম্বে এই বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এর মাধ্যমে দ্রুত দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনে হোটেল -পরিবহণে ছাড় কেরলের, ক্ষোভপ্রকাশ করে চিঠি দিল কেন্দ্র]

 

সাধুদের গণপিটুনির ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুম্বই বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমরজিৎ মিশ্র। তাঁর দাবি, ঘটনাটির উৎসে গিয়ে তদন্ত চালানো হোক। আর এর জন্য দায়ী পুলিশকর্মীদের বরখাস্ত করা হোক।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্থানীয় জুনা আখড়ার দুই সাধু সুশীল গিরি মহারাজ ও চিকানে মহারাজ কালপাভরিক্ষগিরি একটি গাড়িতে চড়ে সুরাটে যাচ্ছিলেন। তাঁদের গাড়ি চালাচ্ছিলেন নীলেশ তেলগানে নামে এক যুবক। পালঘরের কাছে বেশ কয়েকজন তাদের গাড়ি আটকায়। অনেকে বলতে থাকে, তিনজনে কিডনি বিক্রি করে টাকা উপার্জনের আশায় বেশ কয়েকটি শিশুকে চুরি করেছে। এই অভিযোগে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাদের। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে আসে। অভিযোগ, পুলিশের উপরেও হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িতেও। বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হাসপাতালেই মারা যান ওই তিনজন। এলাকার শিশুদের অপহরণ করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করতে এসেছে তিনজন, এই গুজবের জেরে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি কে এই গুজব রটাল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

[আরও পড়ুন: লকডাউনের জের, ৩১ মে পর্যন্ত উড়াল বাতিলের সিদ্ধান্ত ইন্ডিগো- ভিস্তারার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement