নন্দিতা রায়: গতকাল রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পর আজ হাথরাসে যাওয়ার সময় তৃণমূল প্রতিনিধিদলের পথ আটকাল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। দিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এসে ওই প্রতিনিধিদল পৌঁছে গিয়েছিল নির্যাতিতার বাড়ির দেড় কিলোমিটার দূরত্বে। কিন্তু এরপরই ওই দলকে আটকে দেয় পুলিশ। ওই দলে ছিলেন তিন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, ড. কাকলি ঘোষদস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল এবং প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সরকারি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
সাংসদরা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার শোকতপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ও শোক ব্যক্ত করতেই তাঁরা সেখানে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের পথ আটকেছে। তৃণমূল সাংসদের হেনস্তা করারও অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এরপর পুলিশের ব্যারিকেডের সামনেই ধরনা দিতে থাকেন সাংসদরা।
ডেরেক ও’ব্রায়েন বলছেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে হাথরাসে যাচ্ছিলাম ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এবং আমাদের তরফ থেকে সান্ত্বনা জানাতে। সমস্ত প্রোটোকল মেনেই আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম। আমরা সশস্ত্রও নই। কেন আমাদের আটকানো হল? এটা কেমন জঙ্গলরাজ চলছে যে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শোকতপ্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না?’’
এদিনের ঘটনার যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সাংসদদের সঙ্গে পুলিশ ধস্তাধস্তি করছে। ডেরেক ও’ব্রায়েনকে বলতে শোনা যায়, তেমন হলে তিনি এখানেই থাকছেন। কিন্তু যে তিনজন মহিলা প্রতিনিধিদলে রয়েছেন তাঁদের যেতে দেওয়া হোক নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু পুলিশ কোনও কথাতেই কর্ণপাত করেনি। পুলিশের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এরপর আর এগোনোর কোনও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সাংসদরা বারবার পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে ধরনায় বসেন সাংসদরা। তাঁদের স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
গতকালই হাথরাসে যাওয়ার সময় পথ আটকানো হয়েছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরও। রাহুলের অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.