সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ দ্বিতীয় দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘মিশন দিল্লি’। তবে রাজধানীর বুকে আজকের কর্মসূচী এখনও স্পষ্ট নয়। গতকাল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। তাই তৈরি থাকতে চাইছে বিজেপি। আজ অভিষেকের আগেই বাংলার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি।
১০০ দিনের কাজে বঞ্চনার অভিযোগ ও বাংলার বকেয়া আদায়ে রাজধানী দিল্লির বুকে লড়াই শুরু করেছে তৃণমূল। আজ বকেয়া পাওনার দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে অভিষেকের নেতৃত্বে সভা করবে তৃণমূল। হবে কৃষি ভবন অভিযানও। তার পরই সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। তবে তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার আগেই শুভেন্দুকে সময় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষ দলীয় কর্মসূচি নিয়ে গতকাল রাতেই দিল্লি পৌঁছেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তাঁর বিশেষ কর্মসূচি আছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, এত সহজে ঘরের মাঠ যে বিজেপি ছাড়বে না তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল গতকালই। সোমবার তৃণমূলের দিল্লি অভিযানের প্রথম দিন তিনজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বাংলায় দলের রাজ্য সম্পাদক এবং আরও একাধিক নেতানেত্রীকে নিয়ে তিনটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছে কেন্দ্রের শাসকদল। ঘাসফুল শিবিরের বঞ্চনা তোপের পালটা আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’ নিয়ে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং ও মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। প্রসঙ্গত, নিয়োগ মামলায় আজই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি।
উল্লেখ্য, মনরেগা বা একশো দিনের কাজের বকেয়া প্রাপ্তির দাবিতে ‘বঞ্চিত’দের নিয়ে দিল্লি অভিযান শুরু করেছে তৃণমূল। নেতৃত্বে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজঘাটে (Raj Ghat) ‘সত্যাগ্রহ’ আন্দোলনে বসেন বাংলার শাসকদলের নেতাকর্মীরা। সেখানে পুলিশি জুলুমে মাঝপথেই ধরনা শেষ করতে হয় তৃণমূলকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.