সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুতেই মেতেইদের সঙ্গে সহাবস্থান নয়! আস্থা নেই বিরেন সিংয়ের সরকারেও। প্রয়োজনে স্বশাসনের পথেই হাঁটবে তারা। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিল মণিপুরের কুকি সংগঠন ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরাম (ITLF)।
বুধবার কুকি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে আইটিএলএফ। হিংসাদীর্ণ মণিপুরের কুকি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে স্বশাসিত পৃথক অঞ্চল গড়ার ডাক দিয়েছে উপজাতি সংগঠন আইটিএলএফ। তাদের অভিযোগ, গত ৭ মাস ধরে অবহেলিত হচ্ছেন কুকি-জোরা। কানে তোলা হচ্ছে না তাঁদের দাবি-দাওয়া। নিরাপত্তা নেই।
আইটিএলএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মউন টম্বিং মণিপুর সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান, “গত ছয় মাস ধরে আমরা মণিপুরেই এই সরকার থেকে আলাদা শাসন ব্যবস্থা চাইছি। পৃথক একটি ব্যবস্থা গড়ার দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু আমাদের কথায় কর্ণপাত করা হচ্ছে না। যদি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমাদের কথা না শোনা হয় তাহলে আমরা স্বশাসিত অঞ্চল তৈরি করব। কুকি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর সমস্যা সমাধানের স্বার্থে এই সরকার গড়া হবে। কেন্দ্র আমাদের স্বীকৃতি দিক বা না দিক আমরা এটা করবই।”
এদিন বিক্ষোভ দেখানোর সময় মণিপুর সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। একই সঙ্গে আদিবাসীদের উপর হওয়া নৃশংস ঘটনাগুলোর তদন্তের দাবিও তোলা হয়।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন উপজাতি সংগঠন আইটিএলএফের (ITLF) সদস্যরা। সেখানে জানানো হয় জাতি হিংসায় মৃত কুকিদের দেহ কবর দেওয়ার জন্য বোলজাং গ্রামের একটি মাঠ বেছে নিয়েছিল তারা। তাদের দাবি ছিল ওই এলাকা কুকি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর জেলার অন্তর্গত। কিন্তু মেতেইরা পালটা দাবি করে ওই এলাকাটি বিষ্ণুপুর জেলায়। যা মেতেই অধ্যুষিত। ফলে এলাকা কার এই উত্তর খুঁজতেই আটকে যায় মৃতদেহ সৎকারের কাজ। এই বিতর্কের জেরে এখনও ৩৫টি দেহ মর্গেই রয়েছে। দেহ সৎকারেও প্রকট হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষ। ফলে এদিন উপজাতি সংগঠনের এই হুঁশিয়ারির পর ফের বড় কোনও সংঘাতের গ্রাসে পুড়তে চলেছে মণিপুর এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.