Advertisement
Advertisement
কোয়ারেন্টাইন

মধ্যপ্রদেশের স্কুলের শৌচালয়ে ‘কোয়ারেন্টাইনে’ আদিবাসী পরিবার! সিন্ধিয়াকে তোপ কংগ্রেসের

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই অমানবিক ছবি।

Tribal family 'quarentine' in Guna school toilet,Congress taunts Scindia
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:May 4, 2020 4:44 pm
  • Updated:May 4, 2020 4:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের গুনায় একটি স্কুলের শৌচাগারে করোনা সন্দেহে এক আদিবাসী পরিবারকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়। শনিবার রাজঘড় থেকে এই পরিবার গুনায় ফেরে বলে জানা যায়। স্কুলের শৌচালয়ে এই পরিবারে খাবার খাওয়ার ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয় বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।

বিশ্বব্যাপী সংক্রমণের ভয়। এই আতঙ্কে একে একে সমাজ থেকে বাদ পড়তে চলেছে সকল মানবিক গুণ। মধ্যপ্রদেশের গুনার দেবীপুরা গ্রামে ধরা পড়ল এক অমানবিক ছবি। একটি আদিবাসী পরিবারকে স্কুলে শৌচালয়ে বন্ধ করে ‘কোয়ারেন্টাইন’-এ রাখার দাবি করা হয়েছে। সেই ছবিকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে এক হাত নেয় মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্ব। সিন্ধিয়া গড়ে এই অনাচার হওয়ায় প্রশ্ন তুলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বলেন, “এই হল গুনার সার্বিক দৃশ্য। স্কুলের শৌচালয়ে আদিবাসী পরিবারকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। আর এই অমানবিক কাজ তাঁরাই করেছেন যারা আমাদের কাজের ভুল ধরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার হুমকি দিতেন। আজ তারাই মানুষের চোখে পড়ে গেলেন।” সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে দেবীপুরা গ্রামে এক আদিবাসী পরিবার মধ্যপ্রদেশেরই অন্য জেলা থেকে ফিরে আসে। এরপরই স্থানীয়রা তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া গ্রামে ঢুকতে দিতে অস্বীকার করে। গ্রামবাসীদের বিতর্কের মাঝে পড়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা পরিবারটিকে স্থানীয় স্কুলে রাতে থাকার পরামর্শ দেয়। এরপর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা রবিবার সকালে পরিবারটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গেলে তারা দেখেন পরিবারের প্রধান সদস্যকে স্কুলের শৌচালয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে সেখানেই বসে তিনি খাচ্ছেন। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সেই ছবি তুলে স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠিয়ে দিলে বিতর্কের সূচনা হয়। পরে সেই ছবি ভাইরালও হয়ে যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন:১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হল সাধারণ ছুটির মেয়াদ, জমায়েত না করার নির্দেশ হাসিনার]

তবে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের তোলা ছবি ও বিতর্ককে অস্বীকার করেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের সাফাই, “আদিবাসী পরিবারের এই কর্তা স্কুলের মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীয়ের সঙ্গে ঝগড়া করছিলেন। পরে তিনি স্ত্রীয়ের খাবার থালা নিয়ে নিজেই শৌচালয়ে চলে যান। সেই সময়েই স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। এই ঘটনার সঙ্গে আমরা জড়িত নই। স্কুলের মধ্যেই পরিবারের জন্য থাকার সুব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁদের শৌচালয়ে থাকতে হবে না।” তবে মাধবরাও সিন্ধিয়ার মৃত্যুর পর কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিগত কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রদেশের গুনার এই আসন থেকে জয় লাভ করে আসছেন। তাই তার গড়ে এই অমানবিক ছবি ধরা পড়ায় বিতর্ক দানা বাঁধে।

[আরও পড়ুন:করোনার কবলে আরও এক, সিল করা হল দিল্লি BSF`র প্রধান দপ্তরের একাংশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement