সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতি পৃথিবীর কোথায় নেই, তবে ভারতে তা মাত্রা ছাড়া পর্যায় পৌঁছেছে। সেই বাস্তবতার আরও এক উদাহরণ প্রবেশনারি বা ট্রেনি আইএএস অফিসার পূজা খেদকার। অভিযোগ উঠেছে, আইএএস অফিসার হওয়ার জন্য আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তিহীন ক্যাটেগরি এবং ওবিসি ক্যাটাগরির আওতায় ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন তিনি। অবশ্যি এখানেই অভিযোগের অন্ত হচ্ছে না। কাজে যোগ দিয়েই ক্ষমতার অপব্যবহারের ভুরি ভুরি অভিযোগও উঠেছে পূজার বিরুদ্ধে। কেমন সেই অভিযোগাবলী?
মহারাষ্ট্রের পুণেতে অ্যাসিসট্যান্ট কালেক্টর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন পূজা। অভিযোগ, প্রবেশনারি আইএএস অফিসারদের যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়, তা নিচ্ছিলেন তিনি। নিজের অডি গাড়িতে লালবাতি এবং মহারাষ্ট্র সরকারের বোর্ড লাগিয়ে ঘুরতেন। যদিও সেই অনুমতি নেই প্রবেশনারি আইএএস অফিসারদের। শুধু তাই নয়, অ্যাডিশনাল কালেক্টর অজয় মোরে যখন থাকতেন না, তখন তাঁর চেম্বারের একাংশ দখল করতেন। অ্যাডিশনাল কালেক্টরের অনুমোদন ছাড়াই তাঁর অফিসের আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এখানেই শেষ নয়। রেভিনিউ অ্যাসিসট্যান্টকে পূজা নির্দেশ দেন, লেটারহেড দিতে হবে তাঁকে। ঘরের বাইরে রাখতে হবে নেমপ্লেট। আরও জানিয়ে দেন, সিনিয়ার আধিকারিকদের মতোই সুযোগ সুবিধা দিতে হবে তাঁকে। আবদারের এই ঘনঘটার মধ্যেই পূজাকে ওয়াশিম জেলায় বদলি করা হয়। অভিযুক্ত তরুণীর অবশ্যি এই বিষয়ে হেলদোল ছিল না।
এর মধ্যেই জানা যায়, আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তিহীন ক্যাটেগরির সার্টিফিকেট যাচাইয়ের জন্য পূজাকে দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিল এইমস। করোনা মহামারীর অজুহাতে তিনি যাননি। বারবার এইমসের তলব এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, পূজার বাবা একজন রাজনৈতিক নেতা। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে লড়াইও করেছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ইউপিএসসি পূজার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে কোনওরকম সমস্যা হয়নি তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.