Advertisement
Advertisement
বাড়ল বিমানের ভাড়া

ট্রেন বাতিলে আকাশপথই ভরসা, অগ্নিমূল্য উত্তরবঙ্গ-অসমের বিমানভাড়া

চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

Train services with North Bengal severed, air fare spikes
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:December 17, 2019 10:11 am
  • Updated:December 17, 2019 10:54 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমের পাশাপাশি এবার উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনও বাতিল সব। সড়ক পথেও বাড়ছে ভোগান্তি। অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Amendments Act) প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। এখনও রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় আংশিকভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সড়কপথেও বিক্ষোভ প্রদর্শন। অসম-ত্রিপুরার পর জ্বলছে বাংলা। কার্যত বিপর্যস্ত জনজীবন। এককথায়, রেলের সর্বনাশই এখন বিমান সংস্থাগুলির পৌষ মাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাড়া একলাফে হয়েছে গগনচুম্বী।

কলকাতা থেকে বাগডোগরা উড়ান সফরে সাধারণত পকেটে বিশেষ টান পড়ে না বললেই চলে। মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই থাকে। তিন-চার কিংবা পাঁচ হাজারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে বিমান ভাড়া। তবে ট্রেন বাতিল হওয়ায় এবং সড়কপথে সেভাবে নিরাপত্তা না থাকায় বিমানেই বর্তমানে ভরসা রাখছেন যাত্রীরা। আর সেখানেই বেঁধেছে গণ্ডগোল। একলাফে অসম এবং উত্তরবঙ্গগামী বিমানের ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণের তুলনায় অনেকটাই বেশি। বাগডোগরাগামী বিমানের ভাড়া হয়েছে ২১ হাজার টাকা। অন্যদিকে, ডিমাপুরগামী বিমানের ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার। যা সাধারণত, ৪ কিংবা সাড়ে ৪ হাজারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। গুয়াহাটিগামী বিমানের ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭ হাজারে। যেখানে বছরের অন্যান্য সময়ে সাধারণত ভাড়া ঘোরাফেরা করে দু’-আড়াই হাজারের মধ্যে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:  ফের উত্তপ্ত উন্নাও, থানার সামনেই গায়ে আগুন ধর্ষিতার]

মালদহের ভালুকা স্টেশনে তাণ্ডবের পর বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে রেলপথ। ফলে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুই বঙ্গের। আর ঠিক সেই সুযোগেই অগ্নিমূল্য বিমানভাড়া। রবিবার বিকেলে যখন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ সংযোগকারী সমস্ত মেল-এক্সপ্রেস বাতিল করে রেল, তখনই দেখা যায়, সোমবার থেকে কলকাতাগামী বিমানের টিকিটের ভাড়া বাড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে, কলকাতা থেকে বাগডোগরার বিমানের ভাড়াও তাই। শুধু সোমবার নয়, পরবর্তী দিনের বিমানের ভাড়াও মহার্ঘ্য। 

[আরও পড়ুন:  ফের উত্তপ্ত উন্নাও, থানার সামনেই গায়ে আগুন ধর্ষিতার]

যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্দশার জন্য মাথায় হাত পড়েছে উত্তরবঙ্গের হোটেল মালিক তথা পর্যটন সংস্থাগুলোর। ডিসেম্বর, মানেই পর্যটন মরসুম। কেক-পেস্ট্রি সহযোগে বরফের আমেজ নিতে অনেকেই এসময়ে ছোটেন সিকিম-দার্জিলিংয়ে। তবে রেলপথের যা অবস্থা তাতে কবে থেকে স্বাভাবিক পরিষেবা চালু হবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। অতঃপর অনেককেই বাতিল করতে হয়েছে ঘোরার প্ল্যান। এদিকে, একের পর এক বুকিং ক্যানসেল হওয়ায় মুখ ব্যাজার হয়েছে উত্তরবঙ্গের হোটেল মালিকদের। শীতের ছুটি কাটাতে গিয়ে আবার অনেকেই আটকে পড়েছেন উত্তরবঙ্গে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement