Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিকেন আতঙ্কে দূরপাল্লার ট্রেন যাত্রীরা, চিন্তিত আইআরসিটিসি

চিকেনে অনীহা যাত্রীদের।

Train passengers avoid chicken, as carcass meat sparks panic in Kolkata
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 28, 2018 10:38 am
  • Updated:August 24, 2018 5:48 pm  

সুব্রত বিশ্বাস, কলকাতা: ট্রেন যাত্রা মানেই মুরগির মাংসের নানা পদে উদরপূর্তির আশা। সেই আশায় এবার জল ঢালল মরা মুরগির আতঙ্ক। ট্রেন যাত্রায় এখন নাস্তি মুরগি। আইআরসিটিসি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছে, আতঙ্কের উপযুক্ত কারণ রয়েছে। ফলে চিকেনে অনীহা যাত্রীদের।

সংস্থার পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র বলেন, ‘‘মরা মুরগি বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত। আমরা যাদের মাংস জোগানের লাইসেন্স দিয়েছি তারা কোথা থেকে মাংস আনে তা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি ক্রেতার ভাউচার চাওয়া হয়েছে। যাতে দাম থেকে নিশ্চিত হওয়া যাবে মাংসের মান নিয়ে।’’ আইআরসিটিসিকে প্রায় পঁচিশটি সংস্থা মুরগি সাপ্লাই দেয়। সংস্থাগুলি সাধারণত নিউ মার্কেট ও খড়গপুর থেকে মাংস কেনে।

Advertisement

[কেমিক্যালের গুণে ভাগাড়ের পচা মাংস তাজা হয়ে অনায়াসে পৌঁছাত বিদেশে]

দেবাশিসবাবুর কথায়, ওই অঞ্চলগুলিতে এখনও মরা মুরগির তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে সন্দেহ থাকলেও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবুও নজরদারি রাখা হয়েছে। মাংস কেনার সময় সংস্থার প্রতিনিধি পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা দেখবেন মাংস ফ্রেশ কি না। পূর্বা এক্সপ্রেস, গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস, ধৌলি এক্সপ্রেস, ইস্পাত এক্সেপ্রস, হিমগিরি এক্সপ্রেস—সহ হাওড়া, শিয়ালদহ ও কলকাতা থেকে চলাচলকারী অসংখ্য দূরপাল্লার ট্রেনের ক্যাটারিং পরিষেবার দায়িত্ব আইআরসিটিসির। এছাড়া বড় স্টেশনগুলির ‘জনআহার’ রেস্তোরাঁ থেকে বেস কিচেন সবই সংস্থার আওতায়। তবে বেস কিচেনকে একেবারেই সন্দেহের ঊর্ধ্বে রেখেছে আইআরসিটিসি।

[কর্মবিরতি কাটিয়ে সোমবারই ফিরতে পারে হাই কোর্টের চেনা ছবি]

দেবাশিসবাবুর কথায়, আরামবাগ চিকেন থেকে মুরগির মাংস আসে। পরিচিত সংস্থা হওয়ায় আশা করা যাচ্ছে তারা এধরনের কাজ করবে না। ফলে সন্দেহ সেদিকে রাখা হচ্ছে না। তবে ট্রেনে যে মাংস দেওয়া হয় তা সরবরাহ করে লাইসেন্সপ্রাপ্তরা। সেখানে মাংসের গুণাগুণ কতটা তা এবার নজরে রাখা হবে বলে তিনি জানান।  মুরগির মাংস এমনিতেই বিপজ্জনক। তার উপর মরা হওয়ায় শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে রেলের চিকিৎসকদের ধারণা। তাঁদের কথায়, খামারে বেড়ে ওঠা মুরগির শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয় যা মানব শরীরে ক্ষতির কারণ।

[স্কুলের ভিতর শিক্ষককে মারধর, অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষক-শিক্ষিকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement