Advertisement
Advertisement
করোনা

করোনা হটস্পটে থাকা ট্রেন চালকদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ, ক্ষুব্ধ রেলকর্মীরা

রেলমন্ত্রীকে টুইট করে অভিযোগ কর্মীদের।

Train drivers from corona hotpots summoned for duty
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 14, 2020 3:40 pm
  • Updated:April 14, 2020 3:40 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত এলাকার মানুষের উপর কড়া নজর রাখার পাশাপাশি তাঁদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের অযোধ্যা নগরী, হায়দ্রাপাড়া, বাদলপুরে করোনা আক্রান্ত বেশ কিছু রোগির সন্ধান পাওয়ায় এলাকাগুলি সিল করে দেয় প্রশাসন। কিন্তু সরকারি বিধিনিষেধকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওই এলাকায় বসবাসকারী রেলকর্মীদের কাজে ডাকছেন অফিসার। মধ্যে রেলের সিনিয়র ডিপিওর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন রেলকর্মীরা। রেলমন্ত্রীকে কর্মীরা টুইট করে অভিযোগও করেন। ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তাঁরা বলেছেন, মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে ওই অফিসার বলছেন, ‘কোনওমতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত কর্মস্থলে থাকবেন।’

[আরও পড়ুন: ৩০ এপ্রিলের বদলে কেন ৩ মে পর্যন্ত বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ? জেনে নিন কারণ]

বিশেষত রানিং স্টাফদের ফোন করে এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বাদলপুরের দু’টি সোসাইটি কৃষ্ণা এস্টেট ও অযোধ্যা নগরীতে করোনা পজিটিভ রোগী মেলায় দু’টি সোসাইটি কে সিল করে ব্যারিকেড করে দিয়েছে মিউনিসিপালিটি। বসানো হয়েছ পুলিশ। এর পরেও ওই এলাকায় বসবাসকারী চালকদের কাজে ডাকা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কর্মীদের কথায় , একে মুম্বই ডিভিশনে চালক কম। তার উপর করোনা প্রভাবিত এলাকার চালকদের কাজে ডেকে পাঠানোয় জোর আতঙ্ক কর্মীদের মধ্যে। তাঁরা জানান, চালক কম থাকায় এক এক জনকে ১২ থেকে ১৮ ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে। তার উপর সংক্রমণ ছাড়ালে কাজ করবে কে? কর্মীদের ক্ষোভ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ইনচার্জের লিখিত নির্দেশ ছাড়া ফোন পেয়ে কেউ কাজে যোগ দিলে তাঁর থেকে রোগ ছাড়ালে কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে।

Advertisement

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কথা মাথায় রেখেই ৩ মে পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা বন্ধ রাখবে রেল। তবে পণ্যবাহী ট্রেন আগের মতোই চলবে। এদিকে, ৩ মে পর্যন্ত যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবাও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, ১৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছিল। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ৬ লক্ষ ফেসমাস্ক তৈরি করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে হ্যান্ডস্যানিটাইজারও রয়েছে। এমনকী, সোশ্যাল ডিস্টানসিং বজায় রাখতে মিডিল বার্থ ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করায় যাত্রীবাহী ট্রেন না চলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘দেশে পর্যাপ্ত ওষুধ ও খাবার রয়েছে’, বর্ধিত লকডাউনে দেশবাসীকে আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement