সুব্রত বিশ্বাস: শতাব্দীকেও এবার বিদায় জানাতে প্রস্তুত রেল। আধুনিক প্রযুক্তির বিন্যাসে এবার শতাব্দীকেও পিছনে ফেলল চেন্নাই আইসিএফ-এ তৈরি ‘ট্রেন-১৮’। চলতি বছরেই এই ধরনের দুটি রেক চলবে। অতি আধুনিক প্রযুক্তির ৮০ শতাংশ যন্ত্রই ভারতে তৈরি। আইসিএফ সংস্থার জিএম সুধাংশু পানি জানিয়েছেন, আধুনিক প্রযুক্তির আন্তর্জাতিক মানের এই রেকের খরচ পড়বে মাত্র ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা। এখন একটি ইঞ্জিনের খরচই পড়ে ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকা।
কী থাকছে এই ‘ট্রেন-১৮’-এ, এখনকার স্বল্প দূরত্বের ইএমইউ ও ডিএমইউ ট্রেনের মতো আলাদা ইঞ্জিন থাকবে না এই ট্রেনে। ফলে ইঞ্জিন বদলের ঝামেলা থাকবে না। এই রেকে সামনে, পিছনে ও মাঝে ট্রাকশান মোটর থাকে। চালক হাতল ঘোরালেই ট্রাকশান মোটরগুলি সক্রিয় হয়ে চাকাকে ঘোরাতে শুরু করে। ট্রেন-১৮-এ আলাদা ইঞ্জিন থাকবে না। ইঞ্জিনের ভেতরেই ট্রাকশান মোটর থাকবে। ফলে তা সব চাকাকেই এক সঙ্গে সক্রিয় করে তুলবে। সব ব্রেককে এক সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করবে। রেলের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিন ইএমইউ, ডিএমইউ ট্রেনগুলি এখন স্বল্প দূরত্বে চলে। একই ধাঁচের আরও প্রযুক্তিগত উন্নত এই ট্রেন-১৮ এখন চলবে লম্বা সফরে।
হাওড়া-দিল্লি, হাওড়া-মুম্বই, হাওড়া-চেন্নাই। বগিগুলি প্রযুক্তির দিক থেকে উন্নত মানের হবে। ট্রেনের নিচে পাওয়ার ট্রান্সমিশন থাকবে। সেখান থেকেই পাওয়ার এসে এসি থেকে আলো সব জ্বালাতে সাহায্য করবে। স্টেশন এলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেরিয়ে আসবে সিঁড়ি। যা দিয়ে নামা-ওঠা করবে যাত্রীরা। ছাড়ার সময় আবার তা ঢুকে যাবে। ইলেকট্রিক্যাল ব্রেক কন্ট্রোলে ট্রেন দাঁড়াবে সঙ্গে সঙ্গে। দুরন্ত গতির এই ট্রেনের সামনের দিক হবে প্লেনের মতো ছুঁচালো। এত উন্নত প্রযুক্তির দুটি রেক প্রথম কোন লাইনে চলবে তা এখনও ঠিক করেনি রেল। আরডিএসও পরীক্ষা করার পরই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবছর প্রথমে একটি রেক চালু হবে। তা পরীক্ষামূলকভাবে সফল হলে তবেই বাইরে আনা হবে দ্বিতীয় রেকটিকে। এর পরে আরও উন্নত প্রযুক্তির ‘ট্রেন-২০’ আনছে রেল। এখনকার স্টিল বডির বদলে ওই ট্রেন হবে অ্যালুমিনিয়ামের বডির। হালকা হওয়ায় ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.