ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রান্নার হলুদ। তাতেই মিলল মাত্রাতিরিক্ত সিসা। ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানে বিক্রি হওয়া হলুদের নমুনা পরীক্ষা করে চক্ষু চড়কগাছ গবেষকদের। এমনিতে গুঁড়ো হলুদে সিসা মেশানো হয়ই। কিন্তু ইন্ডিয়াস ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটির বেঁধে দেওয়া সীমা প্রতি গ্রামে মাত্র ১০ মাইক্রোগ্রাম। অথচ সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে এক গ্রামে রয়েছে ১০০০ মাইক্রোগ্রাম।
এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, তিন দেশের মোট ২৩টি শহর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে হলুদ। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পিওর আর্থ ও ভারতের ফ্রিডম এমপ্লাবিলিটি অ্যাকাডেমির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেই নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছে। আর তাতেই দেখা গিয়েছে, প্রায় ১৪ শতাংশ হলুদে ২ শতাংশ মাত্রাতিরিক্ত সিসা তথা লিড ক্রোমেট নামের হলদে ধাতু মেশানো হয়েছে। এর ফলে ক্ষতি হতে পারে মারাত্মক। কেননা সিসা হাড়ের মধ্যে জমা হলে নানা শারীরিক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত করা কিংবা আচরণগত সমস্যা তৈরি হতে পারে। আবার ক্ষতি হতে পারে কিডনিরও। তবে তা একান্তই নগণ্য পরিমাণে। ১ শতাংশেরও কম কিডনি খারাপ হওয়ার জন্য দায়ী সিসা।
দেখা যাচ্ছে, তিনটি দেশের সাতটি শহরে (পাটনা, গুয়াহাটি, চেন্নাই, কাঠমান্ডু, করাচি, ইসলামাবাদ ও পেশোয়ার) এক গ্রাম হলুদে মেশানো হয় ১০ মাইক্রোগ্রামের বেশি সিসা। এর মধ্যে সব থেকে ভেজাল হলুদ বিক্রি হয় পাটনায়। তবে স্বস্তির বিষয় হল এই তালিকায় নেই কলকাতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.