সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেলঙ্গানার এক তরুণী পশুচিকিৎসকের নৃশংস গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ক্রুদ্ধ, ক্ষুব্ধ গোটা দেশ। চার অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে সরব নাগরিকরা। ঘটনার অভিঘাতে চমকে উঠেছেন এক অভিযুক্তের মা-ও। তাঁর সাফ বক্তব্য, দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর ছেলেকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হোক। আরও এক অভিযুক্তের বাবা চান, তাঁদের ছেলেরও যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।
বৃহস্পতিবার ঘুম ভেঙে উঠেই গোটা তেলেঙ্গানা বীভৎসতায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। শাদনগর থানা এলাকার চাতানপল্লি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ওই তরুণীর দগ্ধ দেহ। পুলিশ চার অভিযুক্তকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করে। অন্যতম অভিযুক্ত চেন্নাকেশাভুলুর মা জয়াম্মা রবিবার সাফ বলেছেন, “আমার ছেলে যদি এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, ওকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হোক। আমার কাছে ওর কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। অন্যায় যে-ই করুক, সেটা অন্যায়ই। ওই মহিলা (পশুচিকিৎসকের মা) ন’মাস গর্ভে ধারণ করে মেয়েটিকে জন্ম দিয়েছিলেন। আর সে এত যন্ত্রণাদায়ক ঘটনার শিকার হল! ওঁর উপর দিয়ে কী ঝড়টাই না যাচ্ছে।” জয়াম্মা বলেছেন, “ও এমন অপরাধ করেছে, বিশ্বাস করতে মন চাইছে না। কিন্তু যদি সত্যি দোষ করে থাকে, অন্যদের মতো ওরও শাস্তি হোক।” জয়াম্মা জানিয়েছেন, তাঁরও একটি মেয়ে আছে। তাই সন্তান হারানো মায়ের কষ্ট কতটা, সেটা ভালই বুঝতে পারছেন। জয়াম্মার মতোই রাগে ফুঁসছেন মূল অভিযুক্ত আরিফের বাবা হুসেন। তাঁরও সাফ কথা, ছেলে দোষী হলে উপযুক্ত শাস্তি হোক। তাঁর তাতে কোনও আক্ষেপ থাকবে না।
গত বুধবার রাতে, তেলেঙ্গানার সাধনগরের সামশাবাদের কাছে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক পশু চিকিৎসককে। বছর ছাব্বিশের ওই তরুণী চিকিৎসক হায়দরবাদের কাছে সামশাবাদের টোলপ্লাজায় নিজের স্কুটিটি রাখেন। সেখান থেকে কাছেই একজন ত্বকের চিকিৎসকের কাছে যান। রাত নটার সময় টোলপ্লাজার কাছে পৌঁছান তিনি। দেখেন, তাঁর স্কুটির একটি চাকা ফুটো হয়ে গিয়েছে। ঠিক ততক্ষণ তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল ওই তরুণীর বোনের। তিনি শেষবার ফোনে ভয় লাগছে বলে জানান বোনকে। তারপর থেকে ফোন সুইচড অফ হয়ে যায় ওই চিকিৎসকের। পরেরদিন সাধনগর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি ব্রিজের নিচে তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলার হারের লকেট দেখে চিকিৎসকের দেহ শনাক্ত করেন পরিজনেরা।
[আরও পড়ুন: ‘হায়দরাবাদের ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক’, ঘৃণায় সরব রূপা গঙ্গোপাধ্যায়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.