সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। ভূস্বর্গের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটককে খুন করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভয়ংকর এই জঙ্গি হামলার মূলচক্রী সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরি। সইফুল্লা লস্করের অন্যতম শীর্ষনেতা। ভরতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ্যে আসছে সইফুল্লার বিলাসবহুল জীবন যাপনের কথাও।
গতকালের হামলায় সবচেয়ে বড় আঘাত এসেছে কাশ্মীরের অর্থনীতির চালিকা শক্তি পর্যটন ব্যবসায়। রাতেই পহেলগাঁও-সহ উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা। অথচ স্থানীয় কাশ্মীরিদের স্বার্থরক্ষার অজুহাতে ২০১৯ সালে গঠিত হয়েছিল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা টিআরএফ। যদিও জঙ্গি কার্যকলাপের কারণে ২০২৩ সালে টিআরএফ-কে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দিনে দিনে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লস্করের ‘ছায়া সংগঠন’ হয়ে ওঠা টিআরএফ গতকালই এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
গোয়ান্দাদের দাবি, টিআরএফের সদস্যেরা হামলা চালালেও পুরো পরিকল্পনা করেছিলেন সইফুল্লা। এই জঙ্গিনেতার সঙ্গে পাক সেনার সম্পর্ক গভীর। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, পাক সেনার সঙ্গে যৌথভাবে পহেলগাঁও হামলার ছক কষেছিল সইফুল্লা। ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে হামলাকারী জঙ্গিদের হাতে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক একে৪৭। মনে করা হচ্ছে, জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে সাহায্য এবং অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্বে ছিল পাক সেনা তথা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।
জানা গিয়েছে, পহেলগাঁও হামলার মাস দুই আগে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের কাঙ্গলপুরে দেখা গিয়েছিল সইফুল্লাকে। সেখানে পাক সেনার একটি ব্যাটেলিয়ানের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন সইফুল্লা। পাক সেনার কর্নেল জাহিদ জারিনের আহ্বানে সেনাকর্মীদের মনোবল বাড়াতে এই বক্তৃতার ব্যবস্থা হয়েছিল। স্বভাবতই নিজের বক্তব্যে ভারতবিরোধী বার্তা দেন সইফুল্লা। ভারতে হামলা চালিয়ে কাশ্মীর দখলের ডাক দেন তিনি। মানুষ মারার কারবারি হলেও শৌখিন এই লস্কর নেতা বিলাসবহুল জীবন যাপন করতেন বলেও জানা গিয়েছে। বিলাসবহুল গাড়ির শখ তাঁর। সারাক্ষণ তাঁকে ঘিরে রাখে সশস্ত্র বাহিনী!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.