মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) ভয়াবহ গুলির লড়াই। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে তিন সন্ত্রাসবাদী। হতদের মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার মহম্মদ আশরফ খান ওরফে আশরফ মৌলবী। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর।
কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, শুক্রবার অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে সংঘর্ষে খতম হয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার আশরফ মৌলবী-সহ তিন জঙ্গি। উপত্যকায় হিজবুলের হয়ে সবচেয়ে বেশিদিন ধরে নাশকতা চালাচ্ছিল আশরফ। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকায় শীর্ষ দশে নাম ছিল তার। পুলিশপ্রধান আরও জানান, ২০১৩ সালে হিজবুলে যোগ দেয় কোকেরনাগের বাসিন্দা আশরফ। তারপর থেকেই ধাপে ধাপে সংগঠনে এগিয়ে যায় সে। সেনাবাহিনীর উপর হামলা ও নাগরিকদের হত্যার বেশকয়েকটি ঘটনায় ওই জঙ্গির হাত ছিল।
কাশ্মীর উপত্যকায় একের পর এক অভিযান চালিয়ে জেহাদিদের কোমর ভাঙতে তৎপর সেনাবাহিনী ও পুলিশ। গত এপ্রিল মাসে এক এনকাউন্টারে কাশ্মীরে খতম হয়েছে লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার ইউসুফ কান্তরো-সহ দুই জঙ্গি। তার আগে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শোপিয়ান (Shopian) জেলার বদগামে খতম হয় অন্তত ৪ জঙ্গি (Terrorist)। যদিও ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি উলটে যায়। তাতে দুই সেনা জওয়ান প্রাণ হারান। ওই এনকাউন্টারে নিহত জঙ্গিরা সকলেই লস্করের সদস্য ছিল। সম্প্রতি কাশ্মীরে ফের জঙ্গিদের উপদ্রব বেড়েছে। এবার উপত্যকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে জেহাদিরা মূলত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের টার্গেট করছে।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) সন্ত্রাসমুক্ত করতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। একের পর এক খতম করা হচ্ছে জেহাদি কমান্ডারদের। গত জুন মাসে শ্রীনগরে নিকেশ করা হয় লস্কর-ই-তইবার কুখ্যাত জঙ্গি নাদিম আবরারকে। ফলে উপত্যকায় কার্যত কোণঠাসা জঙ্গিরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.