সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় দশক পর নতুন করে গুজরাট দাঙ্গা মামলায় অস্বস্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাঙ্গা মামলায় মোদিকে নিষ্কৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন প্রাক্তন সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। সেই মামলা গ্রহণ করল সর্বোচ্চ আদালত। আগামী সোমবার মামলার প্রথম শুনানি। ২০০২ দাঙ্গা চলাকালীনই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরিকে। আহমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটির কুখ্যাত গণহত্যায় মৃত ৬৯ জনের তালিকায় ছিলেন এহসানও। তারপর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা গুজরাট বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে লাগাতার আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী জাকিয়া জাফরি।
Supreme Court to hear on 19th November a plea by filed by Zakia Jafri, widow of former Congress MP Ehsan Jafri, challenging clean chit given by the Special Investigation Team (SIT) to PM Narendra Modi, other top politicians and bureaucrats in the 2002 Gujarat riots.
— ANI (@ANI) November 13, 2018
২০০২ গুজরাট দাঙ্গা মামলার পিছনে মূল খলনায়ক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদের এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এমনকি তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদি দাঙ্গা রুখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করেননি বলেও অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে বিস্তর তদন্তও হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর পর ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচিত বিশেষ তদন্তকারী দল (স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম) মোদি-সহ গুজরাটের শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করে তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। ততদিনে অবশ্য মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা আবারও তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ আনেন। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমে গুজরাট হাই কোর্টে মামলা করেন জাকিয়া জাফরি। কিন্তু গুজরাট হাই কোর্ট তাঁর সেই পিটিশন খারিজ করে দেয়। এবার গুজরাট হাই কোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান জাকিয়া। সর্বোচ্চ আদালত মঙ্গলবার জানিয়ে আগামী সোমবার মামলার প্রথম শুনানি হবে। বিচারপতি এ এম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ মামলা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিচারপতি খানউইলকর জানিয়েছেন, মুখবদ্ধ খামে পেশ করা সিটের রিপোর্ট আর একবার খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তা আছে। তাই সোমবার মামলা ফের শোনা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় সরকারি হিসেবে ১ হাজার ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৭৯০ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের। ২২৩ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের। যদিও বেসরকারি হিসেবে মৃত্যুর হিসেব ছিল ২ হাজারেরও বেশি। প্রায় আড়াই হাজার লোক গুরুতর আহত হন। এখনও নিখোঁজ প্রায় ২২৩ জন। এছড়াও প্রচুর মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এ হেন হিংসার জন্য এখনও নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করেন এক গোষ্ঠীর মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.