সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসির পর তাদের অঙ্গদান করা হোক। এই আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি এম এফ সালদানা। সোমবার তাঁর সেই আরজি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিদের কথায়, “পরিবারের কারোর ফাঁসি হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এরপর আপনি চান তাদের শরীর টুকরো টুকরো করা হোক। একটু তো মানবিক হোন।”
প্রসঙ্গত, চার ধর্ষকের ফাঁসির পর গবেষণার স্বার্থে তাদের অঙ্গদান করা হোক, তিহার কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে নির্দেশ দিক সু্প্রিম কোর্ট। এমনকী, প্রত্যেক ফাঁসির আসামীকেই দেহদানের আবেদন করা হোক। এই আবেদন নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি। কিন্তু তার সেই আরজি খারিজ হয়ে গিয়েছে।
২০১২ সালের ডিসেম্বর। সিনেমা দেখে দিল্লিতে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু। সেই সময় ফাঁকা বাসে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় লোহার রড। ওই তরুণীর বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর একটি নির্জন রাস্তায় চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় তরুণী এবং তাঁর বন্ধুকে। বহুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসায় সাড়া দিতে পারেননি ওই তরুণী। জীবনযুদ্ধে হার মানেন তিনি। এই ঘটনায় প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠে গোটা দেশে। গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্তরা। কারাগারেই আত্মহত্যা করে এক অভিযুক্ত। বছর সাতেক পর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালত। তবে এখনও ফাঁসি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। কারণ, একের পর এক অভিযুক্ত ফাঁসি খারিজ এবং ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করেই নষ্ট করছে সময়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.