সংবাদ প্রতদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালে পালাতে গিয়ে দিল্লিতে পুলিশের জালে ধরা পড়ল কুখ্যাত বাংলাদেশি আল কায়দা জঙ্গি। ধৃত জঙ্গিকে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এদিনই জিশান খান নামে আর এক আল কায়দা জঙ্গিকে আরব থেকে ভারতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদীর নাম রাজাউল আহমেদ। চারদিন আগে উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আবদুল্লার মতো রাজাউলও আল কায়দার বাংলাদেশি শাখা আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য। এদিনই তাকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা। রাজধানীর জাল নোট পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল সে। বহুদিন ধরেই দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ খুঁজছিল এই মোস্ট ওয়ান্টেড ওপার বাংলার সন্ত্রাসবাদীকে। ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকটিনেন্ট’-এর সক্রিয় সদস্য জিশান। ২০১৬ থেকে পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে’ রয়েছে সৈয়দ মহম্মদ জিশান আলির নাম। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া চার্জশিটেও রয়েছে তার নাম। বহুদিন ধরেই তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ।
[ভারতে হামলার ছক, যোগীর রাজ্যে ধৃত বাংলাদেশের জঙ্গি]
জামশেদপুরের বাসিন্দা জিশান আরবের মাটিতে থেকেই সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালাত। বিয়ে করে ২০০৭ সালে গ্লাসগো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জঙ্গিহামলার মাস্টারমাইন্ড কাফিল আহমেদের বোন সাবিল আহমেদকে। আল কায়দার আন্তর্জাতিক স্তরের মাথাদের সঙ্গেও বিভিন্ন নাশকতামূলক অভিযান চালিয়েছে জিশান। সে জঙ্গিসংগঠনটির হয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মগজ ধোলাই করত ভারতের মুসলিম যুবকদের। জিশানের ভাই সৈয়দ আহমেদ আরশিয়ানও আল কায়দা নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন।
উল্লেখ্য, রবিবার উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের কুতেসারা গ্রাম থেকে এক বাংলাদেশি জঙ্গি আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভারতে বড়সড় জঙ্গি হামলা চালানোর ছক কষছিল ওই জঙ্গি বলে জানায় পুলিশ। ধৃত আবদুল্লাহর থেকে বেশ কয়েকটি জাল পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, জাল পরিচয়পত্রগুলি অন্য জঙ্গিদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের গা ঢাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব ছিল আবদুল্লাহর উপর। বাংলাদেশের কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর সদস্য আবদুল্লাহ গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মুজফফরনগরে ঘাঁটি গেড়েছিল। এর আগে ২০১১-তে সাহারানপুরে গোপন আস্তানায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল সে।
[বাংলাদেশ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ কাণ্ডে ২০ বছরের জেল ১৪ জামাত জঙ্গির]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.