সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটার ডেস্ক : অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী থাকা মুরলী মনোহর যোশীকে আর প্রার্থী করছে না বিজেপি। এমনিতে এবার ৭৫ বছরের বেশি বয়স্ক নেতাদের অবসর নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে দলের তরফে। সেই তালিকায় একদা দলের লৌহপুরুষ নামে খ্যাত লালকৃষ্ণ আডবানী যেমন রয়েছেন তেমনি রয়েছেন যোশীও। পাশাপাশি দলের তারকা প্রচারকদের দিয়ে প্রচার করানোর যে তালিকা তৈরি হয়েছে তাতেও ঠাঁই হয়নি তাঁদের।
কিন্তু, এর প্রেক্ষিতে আদবানী এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও থেমে থাকেননি কানপুরের বিদায়ী সাংসদ ৮৫ বছরের মুরলী মনোহর যোশী। সোমবার সরাসরি ভোটারদের চিঠি লিখে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, দল তাঁকে প্রার্থী হতে নিষেধ করেছে। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “কানপুরের ভোটাররা, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শ্রী রামলাল আমাকে জানিয়েছেন যে কানপুর বা অন্য কোনও জায়গা থেকে ভোটে লড়া উচিত নয়।” রামলালের মারফত দল তাঁকে নিজে মুখে নির্বাচনে না দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করতে বললেও বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা তা করতে অস্বীকার করেন। উলটে কেন তিনি দাঁড়াচ্ছেন না তা স্পষ্টভাবে ভোটারদের চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেন।
তাঁর মতো আডবানীও দলের সাধারণ সম্পাদকের কথা মেনে নির্বাচনে না দাঁড়ানোর কথা নিজে মুখে ঘোষণা করেননি। তবে এই নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথাও বলেননি। যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের কথায়, বিষয়টিতে খুব মর্মাহত হয়েছেন ভারতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানী। কারণ, অমিত শাহ একবারও তাঁর কাছে এসে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। উলটে নিজেই আডবানীর লোকসভা আসন গান্ধীনগর থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। সূত্রের খবর, পরিচিতদের কাছে নাকি যোশীও আক্ষেপ করে বলেছেন যে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দলের সভাপতি একবার তাঁর সঙ্গে কথা বলে নিতে পারতেন।
অটলবিহারী বাজপেয়ির আমলে এনডিএ মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন মুরলী মনোহর যোশী। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিজের বারাণসী আসনটি নরেন্দ্র মোদিকে ছেড়ে কানপুর থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখান থেকে বিপুল ভোটে জিতে সাংসদও হয়েছিলেন। কিন্তু, এবার সেই মানুষটিকে দাঁড় না করানোর পাশাপাশি দল উত্তরপ্রদেশে প্রচারের জন্য যে কর্মসূচি বানিয়েছে তাতেও জায়গা দেওয়া হয়নি।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর আডবানী ও যোশীর মতো দুজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে পাঁচ সদস্যের মার্গদর্শক মণ্ডলীতে পাঠিয়ে দেয় বিজেপি। এর মধ্যে রাখা হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকেও। যদি গত পাঁচ বছরে একবার এই মণ্ডলী নিজেদের মধ্যে কোনও বৈঠক করেনি। এবার ওই দুই বর্ষীয়ান নেতাকে লোকসভা নির্বাচনেও দাঁড়াতে দেওয়া হল না। এর ফলে সংসদে আর দেখা যাবে না জনপ্রিয় এই দুই সাংসদকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.