সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে (Jahangirpuri) হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় অশান্তির পর পুরনিগমের উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। এবার উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শাহিনবাগ (Shaheen Bagh)। ২০১৯ সালের শেষ এবং ২০২০-র শুরুতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিল যেখানকার রাস্তা। সেখানেই দক্ষিণ দিল্লি পুরনগিমে (South Delhi Municipal Corporation) বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিল।
এদিন বুলডোজার নিয়ে পুরনিগমের কর্মীরা উচ্ছেদ অভিযানে এলে ওই বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদ করেন স্থানীয় মানুষ। ফলে থমকে যায় পুর অভিযান। বিক্ষোভে স্থানীয়দের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস (Congress) ও আম আদমি পার্টির সমর্থকরাও। ছিলেন খোদ আপ বিধায়ক আমানতউল্লাহ খানও (Amanatullah Khan)। আপ বিধায়ক দাবি করেন, এই মুহূর্তে এলাকায় একটিও বেআইনি নির্মাণ নেই। তিনি বলেন, “এখানে কোনও অবৈধ নির্মাণ নেই। বুলডোজার এনে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে যে আমি পুরনিগমের উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দিচ্ছি।”
এদিকে জানা গিয়েছে, শাহিনবাগের পার্শ্ববর্তী কালিন্দি কুঞ্জ-জামিয়া নগর এলাকা ও শ্রীনিবাসপুরীতেও পুরনিগমের একই ধরনের অভিযানের প্রস্তাব রয়েছে। যদিও পর্যাপ্ত পুলিশের অভাবে ওই উচ্ছেদ অভিযান আপাতত বাতিল হয়েছে। আগেই দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগমের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাজপাল সংবাদ সংস্থাকে বলেছিলেন, “পুরনিগম তার কাজ করবে, উচ্ছেদ অভিযানের জন্য আমাদের কর্মী ও কর্মকর্তারা প্রস্তুত। এর জন্য বুলডোজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই উচ্ছেদ অভিযান চলবে।”
অন্যদিকে অভিযোগ উঠছে, শাহিনবাগে উচ্ছেদ অভিযানের পেছনে রয়েছে দিল্লি বিজেপির প্রধান আদেশ গুপ্ত। আদেশ গত মাসে আধিকারিকদের চিঠি লিখে উচ্ছদে অভিযানের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, “এলাকায় বেআইনি দখল নিয়েছে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি ও দুষ্কৃতীরা।” উল্লেখ্য, জাহাঙ্গিরপুরীতে অশান্তির পর উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। যদিও সুপ্রিমকোর্ট ওই উচ্ছেদ অভিযানে স্থগিতাদেশ দেয়। তারপরেও বেশ কিছুক্ষণ পুরনিগম অভিযান চালিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। যে ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় শীর্ষ আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.