Advertisement
Advertisement

সন্ত্রাস দমনে সরকারের পাশে বিরোধীরা, সর্বদল বৈঠক শেষে জানালেন বিদেশমন্ত্রী

ভারতের পাশে থাকার বার্তা আমেরিকার৷

 To fight against terrorism all party extend support to Central Govt.
Published by: Tanujit Das
  • Posted:February 26, 2019 7:33 pm
  • Updated:February 26, 2019 9:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভারতীয় বায়ুসেনার সন্ত্রাসদমন অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল৷ এবং সকলেই এই অভিযানে সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে’৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বদল বৈঠক শেষে এমনই জানালেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷ তিনি আরও জানান, ভারতীয় বায়ুসেনার এই বিধ্বংসী জঙ্গিদমন অভিযানের বিষয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও-র সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর৷ এবং তিনিও বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন৷

[যুদ্ধের আশঙ্কায় কাঁপছে কাশ্মীর, বাসিন্দাদের খাদ্যসামগ্রী মজুত করার নির্দেশ ]

Advertisement

মঙ্গলবার ভোররাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জইশ, লস্কর ও হিজবুলের তিনটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে এসেছে ভারতীয় বায়ুসেনা৷ কীভাবে হল এই ধ্বংসাত্মক সন্ত্রাসদমন অভিযান? মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বদল বৈঠকে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সামনে সেই তথ্যই পেশ করে সরকার৷ কেন্দ্রের তরফে বিরোধীদের টেবিলে ভারতীয় বায়ুসেনার পরাক্রমের তথ্য পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷ জানান, এটি একটি সম্পূর্ণ সন্ত্রাসদমন অভিযান৷ যুদ্ধের উদ্দেশ্যে করা কোনও অভিযান নয়৷ এক্ষেত্রে কোনও নাগরিকের সামান্যতম ক্ষতিও হয়নি৷ বিদেশমন্ত্রী জানান, এই সন্ত্রাসদমন অভিযানে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে আমেরিকা৷ তাঁরাও পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে৷

[মিরাজ-২০০০ দেখে ভয়ে পালায় পাক যুদ্ধবিমান, প্রকাশ্যে রিপোর্ট]

সূত্রের খবর, এত বড় সন্ত্রাসদমন অভিযান চালানোর জন্য বায়ুসেনাকে ধন্যবাদ জানান সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা৷ এই চরম সময়ে সকলেই সরকারের পাশে থাকার বার্তা দেন৷ সর্বদল বৈঠক থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ জানান, সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে সর্বদা সাহায্য করতে প্রস্তুত কংগ্রেস৷ একই ভাবে সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন সিপিআই নেতা ডি রাজা৷ তবে এই প্রথম নয়, পুলওয়ামা হামলার পরের দিন অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারিও সংসদীয় দলগুলির একটি বৈঠক ডাকে কেন্দ্র৷ সেবারও সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল সমস্ত সংসদীয় দল৷ সরাসরি যুদ্ধের পথে না গিয়ে সন্ত্রাসদমনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছিল তারা৷

[বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতে নিকেশ কান্দাহার অপহরণ কাণ্ডের মূলচক্রী]

উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় নৃশংস জঙ্গি হামলায় ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই কারও বুঝতে বাকি ছিল না, এর নেপথ্যে প্রতিবেশী পাকিস্তানের কতটা মদত রয়েছে। তাকে যথাযথ শিক্ষা দেওয়ার দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহলে, প্রতিশোধ চাই – স্লোগানে একসঙ্গে সুর মিলিয়েছিলেন গোটা ভারতবাসী। পরিস্থিতি সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাঘাতের নীল নকশাও তৈরি হতে শুরু হয়েছিল দিল্লির অন্দরে। নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছিল সেনাবাহিনীর প্রতিটি শাখা। একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে পালটা জবাব দেওয়া শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা ছিল। মঙ্গলবার ভোররাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে বালাকোট, মুজফ্ফরাবাদ ও চাকোটিতে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়ে এসেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে জইশ, লস্কর, হিজবুল-সহ একাধিক জঙ্গিঘাঁটি৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশের অন্তত ৩টি কন্ট্রোল রুম উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খতম হয়েছে প্রশিক্ষক ও কমান্ডার-সহ প্রায় সাড়ে তিনশো জঙ্গি৷ ভারতের অতর্কিত হানায় খতম হয়েছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের দাদা ইব্রাহিম আজহার৷ কান্দাহার বিমান অপহরণের অন্যতম মূলচক্রী ছিল এই জইশ নেতা৷ মৃত জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে মাসুদ আজহারের শ্যালক ইউসুফ আজহার। হানায় খতম হয়েছে কাশ্মীরের জইশ প্রধান মুফতি আজহার খান কাশ্মীরি। সেনার প্রত্যাঘাতে নিকেশ হয়েছে মাসুদের ভাই মৌলানা তালহা সইফ এবং জইশের শীর্ষ নেতা মৌলানা আম্মর৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement