শুভময় মণ্ডল, নয়াদিল্লি: রাজ্যে বিরোধ থাকলেও জাতীয় স্তরে একজোট হয়ে লড়াই করবে কংগ্রেস-তৃণমূল৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ধরনা মঞ্চ থেকে এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা৷ পাশাপাশি, জিইয়ে রাখলেন আগামী দিনে কংগ্রেস-তৃণমূলের জোটের সম্ভবনা৷ এ দিনের ধরনা মঞ্চ থেকে আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন বিরোধীদের রণকৌশল৷ জানালেন, যে যেখানে শক্তিশালী, সে সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে৷
[কোচিং ক্লাসে আইইডি বিস্ফোরণ, জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি নিশানায় পড়ুয়ারা ]
এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘দিল্লিতে কেজরিওয়াল লড়বে৷ অন্ধ্রে চন্দ্রবাবু লড়বে৷ বাংলায় আমি লড়াই করব৷ একটাও আসন যেন ওরা না পায়৷’’ জাতীয় স্তরে বন্ধুত্ব থাকলেও এ রাজ্যে তৃণমূলের ঘোরতর বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএম৷ শীর্ষ নেতারা চাইলেও, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে জোট চাইছে না প্রদেশ কংগ্রেস৷ সে কথা হাই কমান্ডকেও জানিয়ে এসেছে নেতারা৷ এমনকী, বুধবার লোকসভাতে তৃণমূলকে চিটফান্ড ইস্যুতে খোঁচাও দেন অধীর চৌধুরী৷ যাতে ক্ষুব্ধ হন মমতা৷ এই বিষয়ে কেজরিওয়ালের ধরনা মঞ্চ থেকে এক যোগে কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি কটাক্ষ করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘রাজ্যে তো কংগ্রেস-সিপিএম বিজেপির সঙ্গে মিলে আমাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াই করে৷ ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করা আমার স্বভাবে পরিণত হয়েছে৷ রাজ্যে বিরোধিতা থাকলেও জাতীয় স্তরে আমরা একসঙ্গে লড়াই করব৷’’ মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র৷ তিনি বলেন, ‘‘যদি সত্যি বিজেপির বিরুদ্ধে ওঁ লড়াই করতে চান, তবে স্বাগত৷ পরে মাঝপথে যেন এই লড়াইটা থেমে না যায়৷’’
[ইউপিএ জমানার চেয়ে সস্তায় রাফালে চুক্তি, CAG রিপোর্টে স্বস্তি মোদি সরকারের]
রাজধানীর যন্তর মন্তরে কেজরির ধরনাকে সমর্থন জানিয়ে এদিন হাজির হন বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা৷ সেই ধরনা মঞ্চ থেকে মোদি সরকারকে একের পর এক তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘ডেমোক্রেসি নয়, এখন নমোক্রেসি চলছে৷ ওদের বিরুদ্ধে কথা বললেই জেলে পুড়ে দেওয়া হচ্ছে৷ জরুরি অবস্থা চলছে৷’’ প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, ‘‘আজ সংসদে ওঁর শেষ দিন৷ আর কয়েকদিন যা করার করে নিন৷ নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে, কমিশনের হাতে আইন-শৃঙ্খলা হলে যাবে৷ তখন আর কিছু করতে পারবেন না৷ কী করবে মোদি সরকার? জেলে ভরবে? খুন করবে? এজেন্সি পাঠাবে? আমরা ভয় পাই না৷ আমরা লড়াই করতে জানি৷’’ কেন্দ্র ও প্রাক্তন সিবিআই অধিকর্তা অলোক ভার্মার দ্বন্দ্বকে উসকে দিয়ে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন, সিবিআইয়ের মতো একটি সংস্থাকে নষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি৷ সংস্থার সম্মান নষ্ট করেছে৷ গেরুয়া শিবিরকে বিঁধতে আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের ইস্তফা প্রসঙ্গও টেনে আনেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.