হরিয়ানায় ৩০৬টি গ্রামে বিজেপি-জেজেপি নেতাদের বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্টারনেট (Internet) বন্ধ তো কী হয়েছে? নিজেদের কথা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন হরিয়ানার (Haryana) আন্দোলনরত কৃষকরা। গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে নিজেদের আওয়াজ পৌঁছে দিতে এবার বিভিন্ন মন্দিরে লাগানো লাউডস্পিকারের সাহায্য নিচ্ছেন তারা। ওই লাউডস্পিকারের মাধ্যমেই চলবে বিতর্কিত কৃষি আইনের (Farm Laws) প্রতিবাদে ভাষণও। যা রীতিমতো বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে হরিয়ানার মনোহর লাল খাট্টারের সরকারকেও।
বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে রাজধানী দিল্লির (Delhi) একাধিক সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা। তবে সাধারণতন্ত্র দিবসের পর থেকেই যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই সমস্ত এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। একই পন্থা অবলম্বন করেছে হরিয়ানার BJP সরকার। সে রাজ্যের ১৭টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ। তবে তাতেও কিন্তু দমছেন না আন্দোলনরত কৃষকরা। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ গাজিপুর সীমান্তে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের কান্নায় ভেঙে পড়ার দৃশ্য দেখেই অনেকেই পুনরায় আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের একাধিক কৃষক ফের আন্দোলনের স্থানে ফিরে এসেছেন। কোনওভাবেই যাতে যোগী সরকার দমন-পীড়ন নীতি গ্রহণ করে আন্দোলনকারীদের সরাতে না পারে, সেজন্য যুব সম্প্রদায়ও আন্দোলনকারীদের সমর্থনে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন টোল প্লাজাতেও ফের বাড়তে শুরু করেছে আন্দোলনরত কৃষকদের সংখ্যাও।
এদিকে, এই পরিস্থিতিতেই জিন্দ-পাতিয়ালা হাইওয়ের খাটকার টোল প্লাজায় জিন্দ জেলার ১৭টি খাপ পঞ্চায়েত একসঙ্গে বৈঠকে বসেছিল। সেখানেই ঠিক হয় ৩০৬টি গ্রামের জন্য পৃথক পৃথক কমিটি তৈরি করা হবে। তাঁরাই গোটা গ্রামে প্রচার করবে। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের হটাতে সরকার কোনও পদক্ষেপ করলে দ্রুত পালটা পদক্ষেপও করবেন। এই প্রসঙ্গে জিন্দ জেলার ধাদন খাপের প্রধান নেতা আজাদ পালওয়া বলেন, “গাজিপুর সীমান্তে যেভাবে প্রশাসন আন্দোলনরত কৃষকদের সরানোর প্রচেষ্টা করেছে, সেরকম ফের হলে পালটা যাতে পদক্ষেপ করা যায়, সেজন্যই এই ব্যবস্থা। ওরকম পরিস্থিতি হলেই মন্দিরের লাউড স্পিকার থেকে কৃষকদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। এছাড়া প্রতিদিন নিয়ম করে পাহাড়াও দেওয়া হবে। এছাড়া সামনেই পরীক্ষা। কিন্তু ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় পড়ুয়াদের পড়াশোনা করতেও সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা চাই দ্রুত ইন্টারনেট চালু করা হোক। নাহলে পথ অবরোধেও নামব আমরা। “
এর পাশাপাশি তিনি আরও জানান, খাপের বৈঠকে ঠিক হয়েছে , ৩০৬টি গ্রামে বিজেপি-জেজেপি নেতা-মন্ত্রী কিংবা বিধায়ক-প্রত্যেককেই সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে। কেউ কোনও ধরনের অনুষ্ঠানে তাঁদের ডাকবেন না। পাশাপাশি এটাও ঠিক হয়েছে বিক্ষোভস্থলে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং কৃষক সংগঠনের পতাকা বাদে আর কোনও ধরনের রাজনৈতিক দলের পতাকা থাকবে না।
এদিকে, জানা গিয়েছে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি জিন্দ জেলারই কাণ্ডেলা গ্রামে যাবে বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকাইত। চাষীদের উদ্দেশে বক্তব্যও রাখবেন তিনি। এদিন আবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গাজিপুর সীমান্তে যান শিরোমনি অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল। আন্দোলনকারীদের সমর্থনও জানালেন তিনি। অন্যদিকে, আবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী তথা এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকে উদ্দেশ্য করে পালটা টুইট করলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
Sharad Pawar ji is a veteran politician and a former Union Agriculture Minister, who is also considered well-versed with the issues & solutions relating to Agriculture. He has himself tried hard to bring the same agriculture reforms earlier.
— Narendra Singh Tomar (@nstomar) January 31, 2021
Since he speaks with some experience and expertise on the issue, it was dismaying to see his tweets employ a mix of ignorance & misinformation on the agriculture reforms. Let me take this opportunity to present some facts. pic.twitter.com/8CZ1AzKYoR
— Narendra Singh Tomar (@nstomar) January 31, 2021
As he is such a veteran leader, I would like to believe that he was genuinely misinformed of the facts. Now that he has the right facts, I hope he will also change his stand & also explain the benefits to our farmers.
— Narendra Singh Tomar (@nstomar) January 31, 2021
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.