সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার পর তামিলনাড়ু (Tamil Nadu)। রাজ্য়ের শাসক দলের তৈরি বক্তৃতা না পসন্দ রাজ্য়পালের। আর তাই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নিজের ইচ্ছেমতো কাটছাঁট করে নিলেন বক্তব্য। বক্তব্যের কিছু অংশ পড়লেনই না তিনি। আবার কখনও নিজের মতো করে বক্তৃতা দিলেন। আর রাজ্যেপালের এহেন আচরণে অগ্নিশর্মা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। প্রস্তাব পেশ করেন বিধানসভার রেকর্ড থেকে বাদ পড়বে রাজ্যপালের বক্তব্যের নির্দিষ্ট অংশ। এরপরই বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্য়পাল। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, দক্ষিণের রাজ্যেও রাজ্য় বনাম রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব আরও জোরাল হল।
সোমবার থেকে তামিলনাড়ু বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। রীতি মেনেই অধিবেশন শুরু হয় রাজ্যপাল আর এন রবির ভাষণের মাধ্য়মে। আর সেই ভাষণ ঘিরে সমস্যা তৈরি হয়। রাজ্যের লিখে দেওয়া ভাষণই পড়তে হবে রাজ্যপালকে, এমনটাই জানিয়েছিল শাসক দল ডিএমকে। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না রাজ্য়পাল। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখতে গিয়ে লিখে দেওয়া অংশে কাটছাঁট করেন আর এন রবি।
আগেই রাজ্যপালের উদ্বোধনী ভাষণ বয়কট করেছিল কংগ্রেস, ভিসিকে, সিপিআই ও সিপিএম। রাজ্যপালের উদ্দেশে ‘তামিলনাড়ু ছাড়ো’ স্লোগান দিয়ে বিধানসভার কক্ষত্যাগ করে তারা। ২১টি বিল বিধানসভায় পাশ হওয়ার পরও রাজ্যপাল স্বাক্ষর করেননি। ফলে সেই বিলগুলি আটকে রয়েছে। এর প্রতিবাদে সরব হন রাজ্যের বিধায়করা। রাজ্যপালের ভাষণের পর বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করে ডিএমকে। যেখানে বলা হয়, রাজ্যের লিখে দেওয়া রাজ্যপালের ভাষণের অংশটুকুই বিধানসভায় রেকর্ড করা হবে। রাজ্যপালের ভূমিকাকে বিধানসভার রীতির বিরোধী বলেও দাবি করা হয়েছে সেই প্রস্তাবে। এরপরই বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। জাতীয় সংগীতের অপেক্ষাও করেননি তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.