Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজীব হত্যাকারীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত তামিলনাড়ু সরকারের, বিরোধিতায় কেন্দ্র

নেপথ্যে কোন রাজনীতি?

TN cabinet recommends release of 7 convicts of Rajiv Gandhi assassination
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 9, 2018 8:31 pm
  • Updated:September 9, 2018 8:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশিতভাবেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের নিঃশর্ত মুক্তির সিদ্ধান্ত নিল তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভা। সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের উপর ছেড়ে দেওয়ার পর থেকেই জল্পনা চলছিল, এবার মুক্তি পেতে চলেছে রাজীবের হত্যাকারীরা। সেই জল্পনাতেই শিলমোহর দিল তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে সরকার। মন্ত্রিসভার তরফে জানানো হয়েছে, সবার সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যপালের কাছে এই প্রস্তাব পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে।

[ধর্ষণ রুখতে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প কেন্দ্রের]

রাজীবের হত্যাকারীদের মুক্তির দাবিতে এর আগেও একাধিকবার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে আটকে যায় রাজীব হত্যাকারীদের মুক্তি। ২০১৫-তে তামিলনাড়ু সরকার সাতজন রাজীব হত্যাকারীর মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এই বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চায় শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ছিল, মামলাটি যেহেতু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর খুন সংক্রান্ত, তাই কড়া পদক্ষেপ করা উচিত৷ এরপর ২০১৬-তে আরও একবার তামিলনাড়ু সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়। তখনও মুক্তির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে তারা জানায়, রাজীবের হত্যাকারীদের মুক্তি দিলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে৷ ভুল বার্তা যাবে মানুষের কাছে৷ ফলে অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷ এবারেও তামিলনাড়ু সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় করবে কেন্দ্র। যদিও, রাজীব পুত্র রাহুল গান্ধী আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ও তাঁর পরিবার বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন।

[নেতা-রণনীতি কোনওটাই নেই বিরোধীদের, মহাজোট প্রসঙ্গে কটাক্ষ বিজেপির]

আসলে তামিলনাড়ু সরকারের এই সিদ্ধান্তের পিছনে ভোট রাজনীতি আছে বলে মনে করছেন অনেকে। তামিলনাড়ুতে এমনিতেই বিপাকে এডিএমকে সরকার। জয়ললিতার মৃত্যুর পর দলে যোগ্য নেতার অভাব, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তাঁরা। তাই ভোটের আগে তামিল আবেগকে কাজে লাগাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও, বিজেপি জাতীয় নিরাপত্তার ধুঁয়ো তুলে এই সিদ্ধান্ত মানতে চাইছে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement