Advertisement
Advertisement
মোদি-তৃণমূল বৈঠক

রাজ্যের নাম বদল নিয়ে মোদির সঙ্গে বৈঠক তৃণমূল সাংসদদের

বৈঠক হল সংসদে।

TMC's Parliamentary party meets PM Narendra Modi in Delhi
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 24, 2019 5:41 pm
  • Updated:July 25, 2019 2:03 pm  

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি:  অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গের নাম ‘বাংলা’ হোক। এমনই দাবি নিয়ে বুধবার সকালে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করল তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দল। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, দেশে একতরফাভাবে বেসরকারিকরণ কখনওই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, গত বছর থেকেই বেসরকারিকরণের লক্ষ্যে রুগণ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির নতুন তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। চলতি অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ খাতে ৮০ হাজার কোটি টাকা তোলার লক্ষ্য নিয়েছে মোদি সরকার। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির বিলগ্নিকরণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

[আরও পড়ুন: অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে ফের সরব বিদ্বজ্জনরা, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শ্যাম বেনেগাল-অপর্ণা সেনদের]

বুধবারের বৈঠকে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তনই আসল লক্ষ্য ছিল। আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের নাম পালটে ‘বাংলা’ করার প্রস্তাব কার্যত খারিজ করে দিয়েছে মোদি সরকার। কোনও রাজ্যের নাম পরিবর্তন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হয়। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সংবিধান সংশোধন করে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে কেন্দ্রের এই মন্ত্রীই আবার বর্ধমান জংশন স্টেশনের নাম পালটে ‘বটুকেশ্বর দত্ত জংশন’ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। যা নিয়ে এখন বিতর্ক তুঙ্গে।

Advertisement

নিয়ম অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের নাম পরিবর্তন করতে হলে আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের নাম পালটে ‘বাংলা’ করার সেই প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভায় পাস হয় ২০১৬ সালের আগস্টে। বিল পাশের পরেই তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনাথও বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দু’বছরে কার্যত সেই কাজ কিছুই এগোয়নি, সম্প্রতি সেই বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement