সন্দীপ চক্রবর্তী: ত্রিপুরায় (Tripura) ফের আক্রান্ত তৃণমূল। এবার ঘটনাস্থল আগরতলার ১১ নম্বর ওয়ার্ড। তৃণমূলের অভিযোগ, ঘাসফুল শিবিরের পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। মারধর করা হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীকেও। তিনি বর্তমানে জিবি হাসপাতালে ভরতি। তাঁর চোখের আঘাত বেশ গুরুতর। হামলার ঘটনায় কাঠগড়ায় বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা-নটা নাগাদ আগরতলার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন শেখর দেববর্মা নামে এক তৃণমূল (TMC) কর্মী। অভিযোগ, সেই সময় একদল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। শুধু দলীয় কর্মীর উপর হামলাই নয়, ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের দলীয় পতাকা এবং ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণে ওই তৃণমূল কর্মীর পেট, বুক এবং চোখে আঘাত লাগে। তিনি বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চোখের আঘাত বেশ গুরুতর বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
এই ঘটনায় ফের চরমে রাজনৈতিক তরজা। ত্রিপুরার বিজেপি (BJP) নেতা নব্যেন্দু ভট্টাচার্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পালটা দাবি, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের চোখের সামনে দলের পোস্টার, পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছিল। তাতেই বাধা দেয় কার্যকর্তারা। বচসা হয়। তবে কোনও তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর জানেন না বলেই দাবি তাঁর। বিজেপি নেতার অভিযোগ, ত্রিপুরায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁর দাবি, “ভয় পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। সে কারণে ত্রিপুরায় পুরভোটের আগে দলীয় কর্মীদের উপর বারবার আঘাত করা হচ্ছে। সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হলে পুরভোটে তৃণমূলই জয়ী হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.