সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) গোয়া সফরের আগেই তৃণমূলের দিকে কটাক্ষের তির ছোঁড়া শুরু করল কংগ্রেস। গোয়ায় এআইসিসির (AICC) প্রধান পর্যবেক্ষক তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম (P Chidambaram) বলে দিলেন, গোয়ায় তৃণমূল প্রান্তিক শক্তি। তৃণমূল স্তরে ওদের কোনও কর্মী বা সংগঠন নেই।
বঙ্গ বিধানসভায় বিরাট সাফল্যের পর যে রাজ্যগুলিকে তৃণমূল টার্গেট করেছে তার মধ্যে অন্যতম গোয়া। ইতিমধ্যেই মাণ্ডভী নদীর তীরে সংগঠন বাড়ানোর কাজে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল। কংগ্রেস (Congress), আপ-সহ একাধিক দলের বিক্ষুব্ধ নেতারা যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। গোটা রাজ্য সেজে উঠেছে তৃণমূলের পোস্টার, ব্যানারে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরে ত্রিপুরায় প্রথম পা রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরার আগে প্রচারে যাচ্ছেন গোয়াতেই। মমতার এই সফরের সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট, গোয়া নিয়ে বেশ আশাবাদী তৃণমূল শিবির।
কিন্তু চিদম্বরম তৃণমূলকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ। তাঁর সাফ কথা, গোয়ায় বিজেপিকে হারানোর লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে কংগ্রেস। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি,”গোয়ায় তৃণমূলের প্রবেশ অনেকটা উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়ার মতো। যেটা বাংলা থেকে পরিচালিত। আমি জানি না ঠিক কী উদ্দেশে তৃণমূল গোয়ার রাজনীতিতে প্রবেশ করে দলত্যাগে উৎসাহ দিচ্ছে।” প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর সাফ কথা, লুইজিনহো ফেলারিওর (Luizinho Faleiro) দলত্যাগের কোনও প্রভাব কংগ্রেসের উপর পড়বে না। চিদম্বরম বলছেন,”ফেলারিওর জন্য আমার খারাপ লাগছে। ওর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষও এই দলত্যাগের বিরোধিতা করছে। সুতরাং এর কোনও প্রভাব পড়বে না। আমরা ওই কেন্দ্রে শক্তিশালী প্রার্থী দেব এবং জিতব।”
গোয়ায় এআইসিসির (AICC) পর্যবেক্ষক আত্মবিশ্বাসী সেরাজ্যে কংগ্রেসই ক্ষমতায় আসবে। তবে, ‘ছোট’ দলগুলির সঙ্গে জোটের রাস্তাও খোলা রেখেছেন তিনি। চিদম্বরম বলছেন, “আমার মনে হয় গোয়ায় কংগ্রেসই বিজেপিকে হারানোর লড়াইয়ে সবার থেকে এগিয়ে। আমরা আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। তবে, ছোটখাটো কোনও দল চাইলে আমরা তাদের কিছু আসন ছাড়তে পারি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.