সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ৮ এপ্রিল সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের ৫ জনের বেশি সাংসদ আছে ওই বৈঠকে সেই সব দলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার দলনেতাদের ডাকা হয়েছে। লকডাউনের নিয়ম মেনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হওয়ার কথা ওই বৈঠক। কিন্তু মোদির ডাকা ওই সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন না। এমনটাই দাবি তৃণমূল (TMC) সুত্রের।
প্রধানমন্ত্রী সর্বদল বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandyopadhyay) এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েনকে (Derek O’Brien) ফোনে আমন্ত্রণ জানান। সুত্রের খবর, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রীর ফোন পাওয়ার মিনিট পনেরোর মধ্যেই ওই বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন দুই তৃণমূল সাংসদ। তৃণমূলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সময় থাকতে বিরোধীদের গুরুত্ব দেননি। সংসদের বাজেট অধিবেশন চলাকালীনই সর্বদল বৈঠকের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক না করে ক্রীড়াবিদ এবং সেলেব্রিটিদের সঙ্গে বৈঠককে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। সে কারণেই এরাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিরা মোদির ডাকা বৈঠকে যাবেন না।
তৃণমূলের এক সুত্র একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, “তৃণমূলই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রথম সংসদ বন্ধের দাবি তুলেছিল। এমনকী বাজেট অধিবেশনের শেষ দুটো দিন আমরা অধিবেশন বয়কট পর্যন্ত করি। আমরা চেয়েছিলাম সংসদের অধিবেশন চলাকালীনই সর্বদল বৈঠক হোক। কিন্তু আমাদের সেই দাবি নাকচ করা হয়েছে।”
করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের কী করা উচিত কী নয় তা নিয়ে বিস্তর মত প্রকাশ করেছেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, পি চিদম্বরম- সহ অনেকে। কেউ আবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেও পরামর্শ দিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এখনও কারোর সঙ্গেই এই নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেননি। বিরোধীদের দাবি, দেশে সংক্রমণের হার ক্রমশ বিপজ্জনক হওয়ায় বিলম্বিত বোধোদয় হয়েছে মোদির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.