সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুকুল রায় বা যশবন্ত সিনহার মতো কোনও পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ নন। দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রাক্তন IAS অফিসার জহর সরকারকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে তৃণমূল। শনিবার এরাজ্যের শাসকদলের তরফে সরকারিভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জহরবাবু (Jawhar Sircar) একটা সময় কাজ করেছেন প্রসার ভারতীর সিইও হিসাবে। মোদি সরকারের প্রবল সমালোচক হিসাবে পরিচিত তিনি।
We are delighted to nominate Mr. @jawharsircar in the Upper House of the Parliament.
Mr. Sircar spent nearly 42 years in public service & was also the former CEO of Prasar Bharati. His invaluable contribution to public service shall help us serve our country even better!
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) July 24, 2021
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন দীনেশ ত্রিবেদী। নৈতিকতার খাতিরে রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে উপনির্বাচন আগামী ৯ আগস্ট। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়াও। দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে তৃণমূল কাকে মনোনীত করে, সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। মনে করা হচ্ছিল, দীনেশের জায়গায় মুকুল রায় বা যশবন্ত সিনহার মতো কোনও পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদকে প্রার্থী করবেন মমতা (Mamata Banerjee)। বিশেষ করে ভেসে আসছিল যশবন্ত সিনহার নাম। বাজপেয়ী জমানার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কঠিন সময়ে মমতার পাশে ছিলেন। একুশের বিধানসভার আগে এরাজ্যের শাসকদলে যোগ দেন তিনি। লড়াইয়ে ছিলেন সদ্য তৃণমূল প্রত্যাবর্তন করা মুকুল রায়ও (Mukul Roy)। তবে, সবাইকে চমকে দিয়েই জহর সরকারের নাম রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে তৃণমূল।
এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের যা শক্তি তাতে জহরবাবুর নির্বাচিত হওয়া নিয়ে কোনও সংশয় নেই। আর BJP যদি প্রার্থী না দেয়, তাহল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই নির্বাচিত হবেন তিনি। ৬৯ বছর বয়সি এই বাঙালি IAS প্রায় ৪২ বছর কোনও না কোনও সরকারি পদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সবচেয়ে বেশিদিন ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব থাকার নজির রয়েছে তাঁর নামের পাশে। যখন যে বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন, সুনামের সঙ্গে সেই বিভাগে কাজ করেছেন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রসার ভারতীর CEO। মোদি সরকারের কাজকর্মের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরেই পদত্যাগ করেন তিনি। এখনও তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত সমালোচকদের মধ্যে একজন। জহরবাবুর কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদে যুক্ত থাকার এই দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং ধারাল বাগ্মিতা মোদি সরকারকে কোণঠাসা করতে কার্যকরী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.