নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আদানি (Goutam Adani) ইস্যুতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে তৃণমূলও। সংসদের অধিবেশনের পাশাপাশি বাইরেও বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। শিল্পপতি গৌতম আদানিকে গ্রেপ্তারির দাবিতে সংসদের মূল ফটক থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন সুস্মিতা দেব, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়রা। বিজয় চকে সাংবাদিক বৈঠক করে আদানিকে গ্রেপ্তারির পাশাপাশি এই ইস্য়ুতে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি করেছেন তাঁরা। পরবর্তীতে এই ইস্যুতে আরও বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার লোকসভায় আদানি ইস্যুতে সংসদীয় তদন্তের দাবিতে সরব হয় তৃণমূল (TMC)-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল। স্পিকার তাঁদের থামতে বললে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন সাংসদরা। পরে আদানি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি ও সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিতে সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেন তাঁরা। এদিকে সংসদের মূল ফটকের বাইরে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের দাবি, ১ লক্ষ কোটির দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতি কাণ্ডে শিল্পপতি গৌতম আদানিকে গ্রেপ্তার করা হোক। সংসদ থেকে স্লোগান দিতে দিতে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। এদিন তৃণমূল সাংসদদের মুখে দু’টি স্লোগান শোনা গিয়েছে। এক, আদানি কো অ্যারেস্ট করো অর্থাৎ আদানিকে গ্রেপ্তার করা হোক। দুই, দেশ কা হ্যায় বুরা হাল, আদানি কাল, আদানি কাল।
এরপর বিজয় চকে সাংবাদিক বৈঠক থেকে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, দেশের মানুষের স্বার্থে আমরা এখানে এসেছি। সাধারণ মানুষ কষ্টার্জিত টাকা এলআইসি, এসবিআইয়ে রাখে। সেই টাকা কীভাবে আদানির হাতে গেল, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিন। এটা ১ লক্ষ কোটির দুর্নীতি, আদানিকে গ্রেপ্তার করা হোক। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের দাবি, “এলআইসি, এসবিআইয়ের চেয়ারম্যানকে হেফাজতে নেওয়া হোক। তাহলেই জানা যাবে কীভাবে মানুষের টাকা গেল আদানির পকেটে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.