Advertisement
Advertisement

Breaking News

TMC

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, সাইকেলে সংসদে পৌঁছবেন TMC সাংসদরা

লোকসভা আর রাজ্যসভার দুই কক্ষেই জ্বালানির দামবৃদ্ধি নিয়ে হবে তীব্র প্রতিবাদ।

TMC MPs will reach Parliamment on cycle to protest against price hike of Petrol and diesel | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 18, 2021 11:05 am
  • Updated:July 18, 2021 11:11 am  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সাইকেল নিয়ে এবার রাজধানীর পথে নামবে তৃণমূল (TMC)। ১৯ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। ওই দিনই দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয় থেকে সাইকেল চালিয়ে সংসদ ভবন পৌঁছবেন সাংসদরা। রবিবার সাউথ অ্যাভিনিউয়েই তার মহড়া। দিল্লিতে সাইকেল আকছার ভাড়া পাওয়া যায়। ইচ্ছামতো চালিয়ে ভাড়া মিটিয়ে দিলেই হল। তেমনই কিছু সাইকেল ভাড়া করা হচ্ছে। তবে বয়স একটা ফ্যাক্টর। অনেকেরই সাইকেল চালানোর অভ্যাস পুরোদস্তুর রয়েছে। বাকি যাঁদের অল্প অভ্যাসেই সাইকেলের প্যাডেলে শান দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে, তাঁরা সাইকেলেই সোজা পৌঁছবেন সংসদ ভবনে। এর পরের অংশ আরও গুরুত্বপূর্ণ। লোকসভা আর রাজ্যসভার দুই কক্ষেই জ্বালানির দামবৃদ্ধি নিয়ে হবে তীব্র প্রতিবাদ।

সাইকেল চালিয়ে এমন প্রতিবাদ কর্মসূচি তৃণমূল ইতিমধ্যে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনেই নিয়েছে। শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না সিঙ্গুর থেকে বিধানসভা ভবন পর্যন্ত চার ঘণ্টার পথ সাইকেল চালিয়ে এসেছিলেন। দলীয় সূত্রে খবর, দিল্লির রাস্তায় আন্দোলনের পর্বে কী কী করতে হবে পইপই করে তা শিখিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অযথা চেঁচামেচি করে গোল বাধানো নয়, ভদ্রভাবে সংসদীয় রীতি মেনেই হবে প্রতিবাদ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে COVID আক্রান্ত বাড়ল ৭.৪ শতাংশ, প্রাণ গেল ৫১৮ জনের]

উদাহরণ হিসাবে নেত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের বিজেপি সাংসদরাও কক্ষে থাকবেন। দিল্লি বা অন্য প্রদেশের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। এ রাজ্যে তাদের বড় পরাজয় হয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কড়া বাক্য বলে তাঁরা কটাক্ষ ছুড়ে দিতে পারেন বা কোণঠাসা করার পথ নিতে পারেন। পালটা কোনও বাজে কথা বলা যাবে না। যুক্তি দিয়ে নিজের কথা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বুঝিয়ে দিতে হবে সংস্কৃতির রাজধানী বাংলায় তৃণমূল ল্যান্ডস্লাইড জয় পেয়েছে। সেই জয় নিয়ে তারা দিল্লি পৌঁছেছে। তাদের লক্ষ্য এবার দিল্লি। তাই প্রতিবাদের আওয়াজ শুধু উচ্চগ্রামে থাকলেই হবে না। কথায় থাকতে হবে আত্মবিশ্বাস। আর স্বর হতে হবে সংযত, মার্জিত। তথ্য আর যুক্তির ধার থাকতে হবে তাতে।

জ্বালানি ইস্যু ছাড়াও আরও চারটি বিষয় তুলে ধরা হবে। যার মধ্যে থাকবে রাজ্যপালকে প্রত্যাহারের দাবি, কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ, অযথা এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলের মন্ত্রী ও বিধায়কদের অপমান, যার মধ্যে সম্প্রতি মানবাধিকার কমিশন যেভাবে রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের দুষ্কৃতী আখ্যা দিয়েছে সেই বিষয়টিও তোলা হবে। লোকসভায় তৃণমূলের এক সাংসদের কথায়, “আমরা তো মানুষের রায়ে জিতেছি। আর বিজেপি হার মেনে নিতে পারছে না। এটা মেনে নিলেই আর ঝগড়া হয় না। রাজ্য-কেন্দ্র সুসম্পর্ক থাকলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভাল থাকে। কিন্তু বিজেপি ঝগড়া চায়। তাই আমরাও প্রতিবাদের পথেই থাকছি। এবার তা হবে আরও তীব্র।”

[আরও পড়ুন: গুজরাটে Mamata, এবার মোদির গড়েও শোনা যাবে ‘দিদি’র ২১ জুলাইয়ের বার্তা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement