ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যাোপাধ্যায়: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমপুরে (Lakhimpur) নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ৪ জন কৃষকের মৃত্যুকে ঘিরে রবিবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে লখিমপুর খেরি। অশান্তির মাঝে পড়ে আরও ৪ জন প্রাণ হারান। এই পরিস্থিতিতে সেখানে পৌঁছন তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুস্মিতা দেব, প্রতিমা মণ্ডল ও আবিররঞ্জন বিশ্বাস। পুলিশের বাধা সত্ত্বেও জেলাশাসকের সহায়তায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন ৫ তৃণমূল সাংসদ। নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সান্ত্বনা দেন তাঁরা।
রবিবার মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে সেখানে। কৃষকের হত্যায় নাম জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আকাশ মিশ্রর।
যদিও অজয় তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এছাড়া তাঁর পাল্টা দাবি, ওইদিন চার কৃষক ছাড়াও আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন বিজেপি কর্মী ও গাড়ির চালক। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কেবল চার কৃষকেরই নাম রয়েছে। সেই রিপোর্টের দাবি, মৃত চার কৃষকের কারও শরীরেই গুলির আঘাতের চিহ্নের সন্ধান মেলেনি। ধাক্কাধাক্কির ফলে হওয়া অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, সব মিলিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই সংঘর্ষে।
রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) লখিমপুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইট করেন। তিনি তাঁর পোস্টে লেখেন, কৃষকদের প্রতি বিজেপির আচরণে তিনি ব্যথিত। সেই সময়ই তিনি ঘোষণা করেন, শিগগিরি কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁর দলীয় সাংসদদের এক প্রতিনিধি দল।
এদিকে লখিমপুর যেতে দেওয়া হয়নি কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi)। রবিবার রাত থেকে সীতাপুর গেস্টহাউসে ‘বন্দি’ ছিলেন তিনি। অবশেষে ৩০ ঘণ্টা আটক থাকার পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.